|
|
|
|
শিল্প থেকে কৃষি, সবেরই ঝলক মিলবে জামশেদপুরের মণ্ডপে |
প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় • রাঁচি |
শহরের পত্তন করেছিলেন বাণিজ্যিক ওই গোষ্ঠীর কর্ণধাররা। ইস্পাতনগরী জামশেদপুর-জুড়ে এখনও কর্মকাণ্ড ওই সংস্থারই।
এ বার পুজোর থিমে তাই তাদেরও ‘ছায়া’ পড়ল।
টাটা সংস্থার ‘বম্বে হাউস’-এর আদলে মণ্ডপ গড়ছে টিমপ্লেট সর্বজনীন দুর্গাপুজো। গোলমুড়ি এলাকার ওই পুজোর থিমে ওই গোষ্ঠীর বিবর্তন দেখানো হবে। উদ্যোক্তারা জানান, জামশেদজি টাটার আমল থেকে শুরু করে রতন টাটা, এমনকী সাইরাস মিস্ত্রি—প্রতিটি অধ্যায় ফুটে উঠবে থিমে। উদ্যোক্তা জয়ন্ত সরকার জানান, এ বছর টাটা প্রতিষ্ঠানের ১৭৫ বছর চলছে। দর্শকদের কাছে তা তুলে ধরার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
কদমা নিউ ফার্ম এরিয়া সর্বজনীন দুর্গাপুজো সমিতির পুজোয় ভারতবর্ষে কৃষির আদিরূপ। উদ্যোক্তা পল্লব দালাল জানান, কৃষিপ্রধান এ দেশের ছবিই থাকবে ৬৫ ফুট উঁচু মণ্ডপে। কারুকাজ পোয়াল তৈরির সুতোয়। ব্যবহার করা হবে বিভিন্ন মডেল।
ভুঁইঞাডিহি এরিয়া সর্বজনীনের পুজোয় পাহাড়, জঙ্গল একাকার। পূর্ব সিংভূম জেলার ওই শহরের কাছেই যে দলমা রেঞ্জ। উদ্যোক্তা রবীন্দ্র ভট্টাচার্য জানান, বাঘের মুখ দিয়ে মণ্ডপে যাবেন দর্শকরা। শিবের জটা থেকে গঙ্গার উৎপত্তিও দেখবেন তাঁরা। কলকাতার বনেদি বাঙালি বাড়িতে পুজোর পরম্পরা এ বার টেলকোর সবুজ কল্যাণ সংঘের মণ্ডপে। এমনই জানিয়েছেন উদ্যোক্তা শুভাশিষ কবিরাজ। ওই পুজোয় ভিড় জমে মণ্ডপ প্রাঙ্গনের মেলাতেও। শহরের অনেক পুজো অবশ্য এখনও সাবেকিয়ানাই আঁকড়ে রেখেছে।
জামশেদপুরের বঙ্গীয় কৃষ্টির ৬১ বছরের পুরনো পুজো থিমে খরচ করতে নারাজ। আজও সেখানে পুরনো দিনের সাজে সজ্জিত একচালার প্রতিমা। উদ্যোক্তা বিকাশ রায়চৌধুরি জানান, পুজোয় গুরত্ব পায় অঞ্জলি, ভোগ, ঢাকি নাচ, ধুনচি নাচ, বিজয়ার সিঁদুর খেলাকেই।
কদমা ওয়েস্ট জোন সর্বজনীন দুর্গা পুজো কমিটির প্রতিমার শোলার সাজ। পুজোকর্তা জয়ন্ত দে জানান, থিমের দিকে না-এগিয়ে সাবেকিয়ানাই ধরে রেখেছেন তাঁরা। একই কথা জানিয়েছে প্রমথনগর দুর্গা ও কালী পুজো কমিটি। দুর্গাপুজো সেখানে যেন মিলনোৎসব। পুজো কমিটির সদস্য নারায়ণ পাল জানান, তাঁদের পুজো শহরতলি এলাকায়। সেখানে সাবেকিয়ানাই সবার পছন্দ।
সাবেকি পুজো হবে ইস্টবেঙ্গল কলোনি দুর্গা পুজো কমিটির (শিব, দুর্গা, কালী মন্দির) মণ্ডপেও। সন্ধ্যারতি, ঢাকি নাচ, ধুনচি নাচই সেই পুজোর আকর্ষণ। |
|
|
|
|
|