|
|
|
|
মোদী-প্রণব একই দিনে পটনায়, বিতর্ক তুঙ্গে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি ও পটনা |
লালু প্রসাদের কারাবাসের পর নীতীশ কুমার ও কংগ্রেসের জোট নিয়ে জোর জল্পনা চলছে রাজনৈতিক শিবিরে। তার মধ্যেই একই দিনে পটনায় নরেন্দ্র মোদীর সভা ও রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের অনুষ্ঠান ঘিরে তৈরি হল বিতর্ক। এই বিতর্কে নীতীশকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিজেপি।
বিতর্কের কারণ একটাই। প্রায় ছ’মাস আগে নরেন্দ্র মোদীকে অক্টোবরে পটনায় এনে এক বিশাল সভা করার কথা ঘোষণা করেছিল বিজেপি। সেই সময় নীতীশ কুমার অবশ্য এনডিএ জোটেই ছিলেন। কিন্তু তার পর রাজনীতির মোড় ঘুরে গিয়েছে। জোটে থাকতেই নীতীশ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে সমর্থন করেছেন। তার পর বিজেপি মোদীকে প্রচারের মুখ হিসেবে তুলে ধরায় জোট ছেড়েছেন। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়া উচিত বলে আজ মন্তব্য করেছেন তাঁর দলের নেতা শিবানন্দ তিওয়ারি। নীতীশ সেই প্রস্তাব এখন ‘বিবেচনায় নেই’ বললেও সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি।
২৭ অক্টোবর পটনায় একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা প্রণববাবুর। সে দিনই মোদীর সভার আয়োজন করেছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, মোদীর সভাকে ভয় পাচ্ছেন মোদী। তাই রাষ্ট্রপতির সফরও একই দিনে ফেলা হয়েছে। যাতে রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার জালে পড়ে বিজেপি কর্মীরা সভায় আসতে না পারেন।
শাহনওয়াজ হুসেন জানান, “রাষ্ট্রপতি দেশে ফিরলেই তাঁর কাছে আবেদন জানানো হবে, যাতে এই সফর তিনি পিছিয়ে দেন।” কিন্তু বিজেপি নেতৃত্ব জানেন, মোদীর সভার জন্য রাষ্ট্রপতি তাঁর সভা পিছোবেন না। রাষ্ট্রপতির সফরের জন্যও মোদীর সভা পিছোনোর কোনও সম্ভাবনা নেই।
নীতীশ তথা বিহার সরকারের যুক্তি, রাষ্ট্রপতির সফর অনেক আগেই নির্ধারিত ছিল। আর এই সফরের সঙ্গে রাজ্য সরকারের কোনও যোগ নেই। রাষ্ট্রপতি ভবনের সঙ্গে কিছু স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা আলোচনা করে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সফর চূড়ান্ত করেছে। ফলে বিজেপির এতে রাজনীতি করার কোনও মানে হয় না।
বিজেপির যুক্তি, রাষ্ট্রপতির সফর নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে কথা বলা হয়নি। কারণ, নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে রাজ্যই। ছক কষেই নীতীশ মোদীর সভার দিনে রাষ্ট্রপতির সফরের ব্যবস্থা করেছেন। বিজেপি নেতাদের মতে, এনডিএ জোট ছাড়ার পর নীতীশ এখন নিজের পায়ের তলায় জমি খুঁজতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কংগ্রেস নেতৃত্বের একটি বড় অংশ এখনও লালুর সঙ্গে যাওয়ার পক্ষপাতী। সে কারণে নীতীশ মনে করছেন, তাঁর একূল-ওকূল দু’দিকই গিয়েছে। তার উপরে মোদীকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়ার পর বিজেপিও তাঁর ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে। এই অবস্থায় কংগ্রেসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। |
|
|
|
|
|