|
|
|
|
মোদীর প্রশংসায় আডবাণী, স্বস্তি বিজেপির অন্দরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
নির্বাচনী সংস্কারের প্রশ্নে কিছুটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই আজ নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় সরব হলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। আর সেই সঙ্গে পাঁচ রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে দলকে অনেকটাই স্বস্তি দিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে পাঁচ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম বার ভোটারদের হাতে কোনও প্রার্থীকেই পছন্দ না করার অধিকার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আজ নিজের ব্লগে কমিশনের সেই উদ্যোগের প্রশংসা করার পাশাপাশি ভোটদানকে বাধ্যতামূলক করার দাবি জানান আডবাণী। আর সেই প্রসঙ্গেই তিনি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গ টেনে আনেন। ব্লগে আডবাণী লিখেছেন, ‘গুজরাত দেশের এক মাত্র রাজ্য, যারা নিজেদের রাজ্যে ভোটদানকে বাধ্যতামূলক করতে দু’বার বিল এনেছে। কিন্তু গুজরাতের রাজ্যপাল কিংবা কেন্দ্র কেউই তাতে সম্মতি দেননি’।
নরেন্দ্র মোদীকে দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা নিয়ে আডবাণীর আপত্তি সর্বজনবিদিত। কিন্তু তার পরেও সঙ্ঘ বা বিজেপি নেতৃত্ব মোদীকেই দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন এই প্রবীণ নেতা। এই বিরোধের আবহে সঙ্ঘ পরিবারের নির্দেশে ভোটের আগে ঐক্যের ছবিটি তুলে ধরতে ভোপালে দলের জনসভায় একই মঞ্চে নরেন্দ্র মোদী ও লালকৃষ্ণ আডবাণীকে হাজির করানো হলেও তাতে দূরত্ব কমার ইঙ্গিত দেখেননি দলের নেতারা। কিন্তু আজ যে ভাবে নির্বাচনী সংস্কারের প্রশ্নে মোদীর প্রশংসা করলেন আডবাণী, তাতে দু’পক্ষের মধ্যে বরফ গলার ইঙ্গিত দেখছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপি শিবিরের একাংশ মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর বিষয়টি নিয়ে দু’শিবিরের মতপার্থক্য তৈরি হলেও সেই দূরত্ব আগের থেকে অনেকটাই কমেছে। দলের এক নেতার কথায়, “মোদী প্রথম থেকেই আডবাণীকে পাশে পেতে চাইছিলেন। তাই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পরেই আডবাণীর আশীর্বাদ নিতে তাঁর বাড়ি ছুটে গিয়েছিলেন তিনি। ভোপালে প্রকাশ্য জনসভায় মোদী আডবাণীর পা ছুঁয়ে প্রণামও করেছিলেন।” অনেকেই মনে করছেন, আজ যে ভাবে নির্বাচনী সংস্কারের প্রশ্নে মোদীর ভূমিকার প্রশংসা করেছেন আডবাণী, তা থেকে স্পষ্ট, আগামী দিনে দলের এই প্রবীণ নেতাকে অনেকটাই পাশে পাবেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী।
বর্তমানে বিশ্বের ৩১টি দেশে নাগরিকদের ভোটদান বাধ্যতামূলক বলে আইন রয়েছে। তার মধ্যে দশ-বারোটি দেশে কোনও নাগরিক যথার্থ কারণ না দেখিয়ে ভোটদানে বিরত থাকলে তাঁকে শাস্তি দেওয়ার বিধান রয়েছে। সেই উদাহরণ টেনে ব্লগে আডবাণীর দাবি, ভারতেও ভোটদানকে বাধ্যতামূলক করা হোক। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকারও প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। যদিও বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। বেশ কিছু সংগঠন ও দলের তরফে ভোটদান বাধ্যতামূলক করার দাবি আগেও জানানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের একাংশের সম্মতিও রয়েছে তাতে।
যদিও এর উল্টো মতও রয়েছে। তাদের যুক্তি, ভোটদান কোনও নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার। তিনি সেই অধিকার প্রয়োগ করবেন কি না, তা একান্তই সেই নাগরিকের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, এই অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে সব দলের সম্মতি ছাড়া আগ বাড়িয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। |
পুরনো খবর: উন্নয়ন নিয়ে নিজের রাজ্যেই বিপাকে মোদী |
|
|
|
|
|