শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার পরিবহণ নগরীতে তোলা আদায় নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াইয়ের ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত মহম্মদ আলম এবং মহম্মদ আমিনকে শুক্রবার মাঝরাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা দুজনেই তৃণমূলের কর্মী বলে স্থানীয় এলাকাবাসীদের অনেকেরই দাবি। ধৃত দুজনকে শনিবার শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়। তাঁদের জামিন নামঞ্জুর হয়ে যায়। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামন বলেন, “দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে জোর করে দোকান বন্ধ করা ও জাতীয় সড়ক অবরোধ করার মামলা দায়ের করা হয়েছে।” এই দুই জনের বিরুদ্ধে এলাকায় তোলা আদায়, জোর করে চাঁদা তোলা সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে এলাকায়।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গৌতম দেব বলেন, “ পুলিশকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে বলেছি। পুলিশ যেটা ভাল বুঝেছে, করেছে।” এদিকে এদিনও তৃণমূলের জেলা মহাসচিব কৃষ্ণ পাল দাবি করেন, যাঁরা গ্রেফতার হয়েছে তাঁরা দলের কেউ নয়। যদিও গ্রেফতার হওয়া ব্যাক্তি তৃণমূলেরই বলে জেলা কংগ্রেস সম্পাদক তথা কিসান ক্ষেত মজুর কংগ্রেসের জেলা সভাপতি পার্থ সেনগুপ্ত অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “গ্রেফতার হওয়া দুষ্কৃতীরা তৃণমূল কর্মী। আগে কংগ্রেসে ছিল। তখন সুবিধা করতে না পারায় তৃণমূলে যোগদান করে। এখন তারাই গণ্ডগোল পাকাচ্ছে।”
বৃহস্পতিবার রাতে মাটিগাড়ায় পুলিশ কমিশনারের অফিসের কাছে প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে গুলি, বোমার লড়াই চলে। লড়াইয়ে জখম হন দুই ব্যক্তি। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর পরে শুক্রবার সকালে আধ ঘন্টায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করে একটি গোষ্ঠী। পরে পুলিশ তাঁদের উঠিয়ে দিলে তাঁরাই গিয়ে ক্ষোভে দোকানপাট বন্ধ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। ব্যবসায়ীরা পরে পুলিশের সহায়তায় দোকান খোলে। বৃহস্পতিবার রাতেই সুরজিৎ সরকার নামে একজনকে গ্রেফতার করছিল পুলিশ।
|