টোকিও ওপেনে খেতাব জয়ের এক সপ্তাহের মধ্যে উপর্যুপরি দ্বিতীয় ট্রফি সানিয়া মির্জার!
অন্য দিকে, সাফল্য, ব্যথর্তা আর চোট নিয়ে টালমাটাল একটা মরসুমের শেষে আবার এক নম্বরের সিংহাসনে রাফায়েল নাদাল। ২৭ মাস বাদে। পয়েন্টের হিসাব বলছে, রবিবারের আর একটা নাদাল বনাম জকোভিচ ফাইনাল যে-ই জিতুন না কেন, স্প্যানিশ তারকার সিংহাসন পুনর্দখল রোখা সম্ভব হবে না।
এই দুই মিলিয়ে দিনটা জমজমাট কাটল চিন ওপেনে। যদিও ভারতীয়দের জন্য একটা খারাপ খবর। সেমিফাইনালে হেরে গেল লিয়েন্ডার-নেস্টর জুটি।
মেয়েদের ডাবলস ফাইনালটা ছিল দিনের একেবারে শেষ ম্যাচ। এবং অষ্টম বাছাই সানিয়া মির্জা-কারা ব্ল্যাক জুটির সামনে সে ভাবে মাথাই তুলতে পারল না ভেরা দুশেভিনা-আরান্থা পারা সান্তোজার রুশ-স্প্যানিশ জুটি। এক ঘন্টা ছ’মিনিটের লড়াই সানিয়ারা জিতলেন ৬-২, ৬-২। চলতি মরসুমে এটা সানিয়ার পাঁচ নম্বর ডাবলস ট্রফি, কেরিয়ারের উনিশ নম্বর খেতাব। কারার সঙ্গে জুটি বেঁধে সাত দিনের মধ্যে দু’টো ট্রফি আসার পিছনে পারস্পরিক বোঝাপড়াকেই ধন্যবাদ দিচ্ছেন সানিয়া। বলেছেন, “কারার সঙ্গে আমার ছন্দটা দারুণ হচ্ছে।” |
তবে সানিয়ারা কোর্টে নামার আগেই পুরুষদের সিঙ্গলসে আরও একটা নাদাল বনাম জকোভিচ নিয়ে আসর গরম হওয়া শুরু হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে জকোভিচকে হারানোর পরে তিনিই ফেডেরারের ১৭ গ্র্যান্ড স্ল্যামের রেকর্ড ভাঙার একমাত্র দাবিদার বলে নাদালকে নিয়ে টেনিস বিশ্ব যখন উচ্ছ্বসিত, সাতাশের স্প্যানিশ ছেলে বলেছিলেন, “আমার কাছে র্যাঙ্কিং নয়, আসল হল সুস্থ থাকতে পারা।”
শনিবার প্রথম সেমিফাইনালে নাদাল ৪-২ এগিয়ে থাকা অবস্থায় পিঠে টান ধরে টমাস বার্ডিচের। তিনি ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ায় নাদালের এক নম্বর হওয়া পাকা হয়ে যায়। হার্ড কোর্টের মরসুমে ফেরার পর থেকে অপ্রতিরোধ্য থেকেছেন নাদাল। এবং বিশ্বের এক নম্বর জকোভিচকে হারিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ফাইনাল এবং কানাডা মাস্টার্সে। |