ছত্রিশ ঘণ্টা পরেই কলকাতা লিগের ম্যাচ খেলতে নামবে মোহনবাগান। কিন্তু রবিবার বিকেলে যুবভারতী ম্যাচ খেলার জন্য প্রস্তুত হবে তো। শনিবার সকালে স্টেডিয়ামে গিয়ে যা অবস্থা দেখা গেল, তাতে অবশ্য হলফ করে বলা যাচ্ছে না, সব ঠিক হয়ে যাবে।
রহমান-সন্ধ্যার পর বাহাত্তর ঘণ্টা কেটে গেলেও, অনুষ্ঠানের রেশ এখনও তরতাজা দেশের অন্যতম বৃহত্তম স্টেডিয়ামের আনাচে-কানাচে। কোথাও ভর্তি আবর্জনা, কোথাও পড়ে ভাঙা কাচের বোতল। বাদ যায়নি যুবভারতীর কৃত্রিম ঘাসের টার্ফও। গোটা মাঠ জুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে কনফেতির টুকরো। হঠাৎ দেখলে মনে হবে, সদ্য সমাপ্ত হওয়া কোনও জমকালো অনুষ্ঠানের ভাঙা মঞ্চ! ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র অবশ্য আশ্বাস দিচ্ছেন, “আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি রবিবারের ম্যাচে কোনও সমস্যা হবে না। নোংরা-জঞ্জাল যা এখনও পড়ে আছে স্টেডিয়ামে, চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে পরিষ্কার করে দেওয়া হবে।”
শনিবার সকালে অবশ্য বেহাল মাঠেই পুলিশ এসি ম্যাচের প্রস্তুতি সারল মোহনবাগান। যুবভারতীর বেহাল অবস্থা ঠিক হোক বা না হোক, মোহনবাগানকে নতুন রূপে সাজাতে মরিয়া করিম বেঞ্চারিফা। যে কুড়ি জনের শক্তিশালী দল তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তাতে ইতিমধ্যেই ১৫ জনকে নাকি ‘খুঁজে’ পেয়েছেন করিম। এমনকী ১০ অক্টোবরের পুণে এফসি ম্যাচকে মাথায় রেখে আজ পুলিশের বিরুদ্ধেও বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার ইঙ্গিত পাওয়া গেল মরোক্কান কোচের গলায়। “যে কোনও বড় দলের প্রধান শক্তি রিজার্ভ বেঞ্চ। ঠিক করেছি, পুলিশ ম্যাচেও নতুন কিছু ফুটবলারকে দেখে নেব।”
রবিবারের প্রথম এগারো কী হবে, সেটা অবশ্য ফাঁস করেননি করিম। তবে অনুশীলন দেখে মনে হল, পঙ্কজ মৌলা, রোউইলসন রডরিগেজ ও নিকোলাও বর্জেসকে শুরু থেকেই দেখা যেতে পারে মাঠে। দুই বিদেশি কাতসুমি-মুরান্ডা। মোহনবাগান কোচ বলছিলেন, “অনেক সমস্যা থাকলেও, টিমটা ধীরে ধীরে একটা জায়গায় আসছে। আশা করছি, ওডাফা ফিট হয়ে গেলে আর কোনও অসুবিধা হবে না।” কিন্তু কবে মাঠে ফিরবেন বাগানের নাইজিরিয়ান গোলমেশিন? এ দিন মাঠে এলেও, অনুশীলন করলেন না। হালকা ফিজিক্যাল ট্রেনিং করেই বসে পড়লেন। ক্লাব সূত্রের খবর, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের আগে ওডাফাকে পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। |
রবিবারে আই লিগে
ইউনাইটেড: বেঙ্গালুরু এফসি (বেঙ্গালুরু ৪-০০)
মহমেডান : সালগাওকর (দুলের ৪-০০)
কলকাতা লিগ
মোহনবাগান: পুলিশ এ সি (যুবভারতী ৪-০০)
|