এ রাজ্যে বাজির শব্দসীমা ১২৫ ডেসিবেল করতে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে পুজোর আগে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হচ্ছে না। জাতীয় পরিবেশ আদালত আগামী ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই ব্যাপারে রাজ্যকে সময় দিয়েছে বলে শনিবার জানান দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান বিনয়কান্তি দত্ত। তিনি বলেন, “জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ, ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ রাজ্যে বাজির শব্দসীমা
৯০ ডেসিবেলের পরিবর্তে ১২৫ ডেসিবেল করে বিজ্ঞপ্তি জারি
করতে হবে। আদালতে আবেদন করেছিলাম, এ ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করতে কিছু সময় দেওয়া হোক। পরিবেশ আদালত বিজ্ঞপ্তি জারির সময়সীমা চার সপ্তাহ বাড়িয়েছে। ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি না করে শব্দসীমা ৯০ ডেসিবেলে রাখতে পারবে পর্ষদ।”
কালীপুজো অবশ্য তারও পরে, আগামী ২ নভেম্বর। সে ক্ষেত্রে কালীপুজোর সময় বাজির শব্দসীমা কি আদালতের নির্দেশমতো ১২৫ ডেসিবেলেই চলে যাবে? পর্ষদ চেয়ারম্যান মন্তব্য করতে চাননি। তবে, পর্ষদ সূত্রের খবর, রাজ্য চেষ্টা করছে যাতে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারির সময়সীমা আদালত কিছুটা বাড়ায়। এতে কালীপুজো ও দীপাবলিতেও শব্দসীমা ৯০ ডেসিবেলেই রাখা যাবে। শুধু বিজ্ঞপ্তি জারির সময়সীমা পিছিয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় থাকলেও বাজি প্রস্তুতকারক সংস্থা ও ব্যবসায়ীদের একটা বড় অংশ জাতীয় পরিবেশ আদালতের রায় অনুযায়ীই চলবেন বলে জানান। সারা বাংলা আতসবাজি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বাবলা রায় বলেন, “বিজ্ঞপ্তি জারি করা, না-করাটা কোনও বিষয় নয়। জাতীয় পরিবেশ আদালত রায়ে এ রাজ্যেও শব্দসীমা ৯০ ডেসিবেলের বদলে ১২৫ ডেসিবেল। আমরা সেই নির্দেশ মতো ২৬ অগস্ট থেকে বাজি তৈরি ও সরবরাহ শুরু করেছি।”
এ দিকে, জাতীয় পরিবেশ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ‘সবুজের অভিযান’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আগামী সপ্তাহে সুপ্রিম
কোর্টে যাচ্ছে। সংগঠনের পক্ষে বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় এ দিন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ সত্ত্বেও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সুপ্রিম কোর্টে যেতে গড়িমসি করায় আমরাই সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছি।”
|