আয়োজনই সার, ফের জঞ্জালে মুখ ঢাকল শহর শিলিগুড়ি। শুক্রবার কংগ্রেস ও তৃণমূল পৃথকভাবে গাড়ি দিয়ে শহর পরিষ্কার করেছে। অথচ শনিবার শহরের বেশির ভাগ এলাকায় দেখা গেল আর্বজনার স্তূপ। সরকারি গাড়ি না পুরসভার গাড়ি কে পরিষ্কার করবে আর্বজনা এই টানাপোড়েনে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন রাস্তায় পড়েই থাকল জঞ্জাল। আশ্রমপাড়ার নজরুল সরণি, রামকৃষ্ণ রোড, রাজা রামমোহন ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় জমে রয়েছে ময়লা। এমনকী, বেলা সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত ময়লা পরিষ্কার হয়নি খোদ জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের মেয়র পারিষদ স্বপন চন্দের ওর্য়াড থেকেও। এলাকার জ্যোতিনগর টিউমলপাড়া এলাকায় পড়ে রয়েছে আবর্জনা।
একদিকে সরকারি গাড়ি আর অন্যদিকে পুরসভার গাড়ি কে আগে পরিষ্কার করবে এই প্রতিযোগিতায় অর্থ অপচয় হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একই ওয়ার্ডে পুরসভা ও সরকারি গাড়ি একসঙ্গে হাজির হয়েছে। বেলা ১১ টা নাগাদ উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেবের ওয়ার্ডে সরকারি গাড়ি জঞ্জাল তুলতেই কলেজের সামনে এসে দাঁড়ায় পুরসভার গাড়ি। কিন্তু কোন জঞ্জাল না পাওয়ায় ফিরে যেতে হয় গাড়িটিকে।
একদিকে রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল ও পুরসভায় প্রশাসক হিসেবে থাকা কংগ্রেস, নিজেদের ওয়ার্ড পরিষ্কার করে নিলেও বামেদের ওয়ার্ডগুলি পরিষ্কার করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার শহরের বিভিন্ন রাস্তায় জঞ্জাল থাকায় তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ মানুষ। পুরসভার বিরোধী দলনেতা নুরুল ইসলাম বলেন, “নিজেরা লড়াই করে ওয়ার্ড পরিষ্কার করছেন আর আমরা বিপাকে পড়ছি, এভাবে অশুভ লড়াই না করে একসঙ্গে কাজ করা উচিত।”
সরকার সাহায্য করতে চাইলেও তা পুরসভা নিতে চাইছে না বলে অভিযোগ তৃণমূলের। এদিন কংগ্রেসের ওয়ার্ডগুলিতে সরকারি গাড়ি যাওয়ার পর ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুরসভার গাড়ি দিয়েই পরিষ্কার করা হবে জানিয়ে দেন কংগ্রেসের কাউন্সিলররা। তৃণমূল কাউন্সিলর কৃষ্ণ পাল বলেন, “আমাদের সরকার শহরকে পরিষ্কার রাখতে চাইছে। এই পুরসভা সাহায্য নিতে চাইছে না। তাঁদের ওয়ার্ডে গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হয়নি।”
তবে এই অভিযোগ মানতে নারাজ কংগ্রেস। সরকারি গাড়ি শুধুমাত্র তৃণমূলের ওয়ার্ডই পরিষ্কার করেছে বলে দাবি তাঁদের। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “আমরা কোনও গাড়ি ঢুকতে বাধা দেয়নি। এটা মিথ্যে অভিযোগ। আমাদের ওয়ার্ডে সরকারি স্টিকার দেওয়া কোনও গাড়ি ঢোকেনি। ওঁরা নিজেরাই ওয়ার্ড বেছে কাজ করেছে। আমরা সমস্ত ওয়ার্ডেই কাজ করেছি।” |