টুকরো খবর
ডায়েরিয়ার প্রকোপ গঙ্গাজলঘাটির গ্রামে
পুজোর মুখেও বাঁকুড়া জেলায় ডায়েরিয়া আটকাতে পারছে না প্রশাসন। এ বার গঙ্গাজলঘাটির ফুলজামে ডায়েরিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ১০ জন বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে চার জনকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছে। গঙ্গাজলঘাটি পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ সোমা বাজপেয়ী বলেন, “অসুস্থদের উপর আমরা নজর রেখেছি। এলাকায় পানীয় জলের উৎস জীবানুমুক্ত করার কাজ চলছে। গ্রামের মানুষদের আপাতত জল ফুটিয়ে খেতে বলা হয়েছে।” স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই গ্রামের বেশ কিছু বাসিন্দার পেটে গোলমাল ও বমি শুরু হয়। খবর পেয়ে গ্রামে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা চিকিৎসা শুরু করেন। গঙ্গাজলঘাটির ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভদীপ বটব্যাল বলেন, “প্রায় ১০ জন গ্রামবাসী ডায়েরিয়ায় অসুস্থ হয়েছেন। গ্রামের নলকূপ ও পুকুরের জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে।” তিনি জানান, গ্রামের পুকুরের জল থেকেই ডায়েরিয়া ছড়িয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। তাই গ্রামবাসীরা যাতে পুকুরের জল ব্যবহার না করেন, সে জন্য সচেতনতার চেষ্টা চলছে। মাস খানেক ধরেই বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন গ্রামে ডায়েরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বাঁকুড়া ১, ওন্দা, বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া ২ প্রভৃতি এলাকায় আগেই ডায়েরিয়ায় বেশ কয়েকশো বাসিন্দা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে এক বৃদ্ধা-সহ দু’জনের মৃত্যু হয়। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, “এই জেলার বহু গ্রামের মানুষ এখনও পুকুরের জল ব্যবহার করেন। নলকূপ থাকলেও অনেকে এখনও পুকুরের জল ব্যবহার করেন। বৃষ্টি ধোয়া নোংরা মিশ্রিত জল পুকুরে পড়ে আরও দূষিত হয়ে উঠেছে। সেই জল থেকেই এলাকায় ডায়েরিয়া ছড়াচ্ছে।” তাই স্বাস্থ্যকর্মীরা গ্রামে গ্রামে জল ফুটিয়ে খেতে পরামর্শ দিচ্ছেন। জেলা সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “প্রতিটি এলাকায় বাসিন্দারা যাতে পানীয় জল পান, সে দিকে পঞ্চায়েতগুলিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে পঞ্চায়েত সদস্যদেরও নজর দেওয়া দরকার।”

হাসপাতালে চুরি সদ্যোজাত, ধৃত
নেই সিসি টিভি। কোনও রকম নজরদারি। তারই সুযোগ নিয়ে এগরা মহকুমা হাসপাতাল থেকে সদ্যোজাত এক
ধৃত মহিলা।
কন্যাসন্তানকে চুরি করে পালাচ্ছিলেন এক মহিলা। পরে অবশ্য পিছু ধাওয়া করে কন্যাসন্তান-সহ ওই মহিলাকে হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়। পুলিশের জেরায় ওই মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর নাম দীপালি মাইতি। কিন্তু নিজের ঠিকানা বা কী কারণে এমনটা করলেন হাজার জেরাতেও তা নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পটাশপুর ১ ব্লকের টেপরপাড়ার ছাড়াদিঘি গ্রামের বধূ শিউলি মান্নার গত শনিবার সিজার করে কন্যাসন্তান হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরবেলা দীপালিদেবী অন্য এক রোগীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে তাঁর সঙ্গে আলাপ জমান। শিউলিদেবীর অন্যমনস্কতার সুযোগ নিয়ে কন্যাসন্তানকে চুরি করে পালান ওই মহিলা। কিছুক্ষণ পরে শিউলিদেবী কন্যাসন্তানকে দেখতে না পেয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে হাসপাতালে আসা কিছু লোকজন মোটর সাইকেলে বেরিয়ে পড়েন। প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে দিঘামোড়ে ওই কন্যাসন্তান-সহ মহিলাকে ধরে ফেলেন তাঁরা এবং হাসপাতালে আনেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে এগরা থানায় পুলিশ ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে। এ দিকে, দিনেদুপুরে হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির ঘটনায় নজরদারিতে গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। শিউলিদেবী বলেন, “ এই ঘটনা থেকেই প্রমাণিত হাসপাতালে নিরাপত্তার ন্যূনতম ব্যবস্থাটুকু নেই।” হাসপাতালের সুপার নন্দকুমার মল্লিক বলেন, “প্রসূতি বিভাগে সিসি টিভি নেই। আগে এখানে এই ধরনের ঘটনাও ঘটেনি। নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.