চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ধাক্কা খেল দুই ম্যাঞ্চেস্টার
কারও পৌষ মাস তো কারও সর্বনাশ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, ইব্রাহিমোভিচদের দল যখন জয়ের রাস্তায় দৌড়চ্ছে ঠিক তখন দ্বিতীয় ম্যাচেই সমর্থকদের প্রত্যাশাপূরণে ব্যর্থ দুই ম্যাঞ্চেস্টার। অ্যাওয়ে ম্যাচে শুরুতে এগিয়ে গিয়েও ডেভিড মোয়েসের ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড শাখতার ডনেস্ক-এর সঙ্গে ম্যাচ ড্র রাখলেও হার এড়াতে পারলেন না ম্যানুয়েল পেলিগ্রিনি। ঘরের মাঠ এতিহাদ স্টেডিয়ামে তাঁর ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ১-৩ উড়ে গেল বায়ার্ন মিউনিখের কাছে।
ডনবাস এরিনায় গ্রুপ ‘এ’-র ম্যাচে ড্যানি ওয়েলবেকের গোলে প্রথমে এগিয়ে গিয়েও জয় এল না ম্যান ইউ-এর। ম্যাচের শেষ মহূর্তে গোল শোধ করে দেন শাখতারের টাইসন। দু’ ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকলেও শাখতারের বিরুদ্ধে এক ঘণ্টারও বেশি সময় এগিয়ে থেকেও কেন গোল হজম করতে হল তা নিয়ে মোয়েসের স্ট্র্যাটেজি সমালোচনার মুখে। ম্যান ইউ কোচ মুখে যদিও এর কোনও উত্তর দেননি। তবে সাংবাদিক সম্মেলনে বলে গিয়েছেন, “সুযোগ কাজে না লাগানোর খেসারত দিতে হয়েছে।” দল নিয়ে যখন এ রকম ল্যাজে-গোবরে অবস্থা মোয়েসের ঠিক তখনই আরও এক বিতর্কের সামনে রুনিদের ম্যানেজার। ঘর সামলাবেন, না দল। তা নিয়েই জেরবার মোয়েস। বৃহস্পতিবারেই ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডগুলো ফলাও করে প্রচার করেছে ‘রেড ডেভিলস’ স্কোয়াডের নয়া সদস্য উইলফ্রেড জাহার সঙ্গে প্রণয়পর্ব চলছে মোয়েস কন্যা লরেনের। যা নিয়ে ভিতরে ভিতরে বেশ অসন্তুষ্ট ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড কোচ। তাই নাকি তাঁর দলে নেই ক্রিস্টাল প্যালেস থেকে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে আসা এই প্রতিভাবান ইংলিশ ফুটবলার। যদিও মোয়েস এবং তাঁর কন্যা লরেন ইতিমধ্যেই প্রচারমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই রটনার কোনও ভিত্তি নেই। একই কথা জানিয়েছেন জাহার এজেন্টও।
মোয়েস। অন্তহীন দুঃসময়।
মোয়েস যখন ঘরে বাইরে সমস্যার মুখে তখন স্বস্তিতে নেই আর এক ম্যাঞ্চেস্টারের কোচ পেলিগ্রিনি। ঘরের মাঠেই তিনি হারলেন পেপ গুয়ার্দিওলার বায়ার্ন মিউনিখের কাছে। ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় গুয়ার্দিওলার দল। গোলদাতা রিবেরি। আর সেখান থেকেই ম্যাচে জাঁকিয়ে বসা শুরু বায়ার্নের। সিটির গোলে জো হার্টের নড়বড়ে ফর্মও এ দিন চিন্তা বাড়িয়েছে ম্যান সিটি কোচের। রিবেরি এবং রবেন দু’জনের গোলের সময়ই হার্টের ভুলভ্রান্তি প্রকট। ফলে জাতীয় দলে হার্টের জায়গা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে এই হারের ফলে। যদিও ইংল্যান্ড কোচ রয় হজসন জানিয়ে দিয়েছেন গোলে হার্টই তাঁর প্রথম পছন্দ।
গুয়ার্দিওলার দলের অপর গোলদাতা টমাস মুলার। শেষ বেলায় আলভারো নেগ্রেদো দর্শনীয় গোল করলেও তা কাজে কাজে লাগেনি সিটির। বায়ার্ন কোচ গুয়ার্দিওলা বলছেন, “শুরু থেকেই ম্যাচের রাশ ছিল আমাদের হাতে। আর সেটাই কাজে লেগেছে।”
এই জয়ের ফলে গ্রুপ ‘ডি’-তে দু’ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রইল বায়ার্ন। তিন পয়েন্ট নিয়ে এই গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে ম্যান সিটি।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.