প্রদীপের সঙ্গে একমঞ্চে, সোমেন কুণালের পাশেও
কের পর এক রক্তদান শিবিরকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের অন্দরে রক্তচাপ বাড়াচ্ছেন বিক্ষুব্ধেরা!
মধ্য কলকাতার ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে এর আগে এক রক্তদান শিবিরে সোমেন মিত্রের উপস্থিতিতে তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ, তাপস পাল, শতাব্দী রায় দলের সমালোচনা করেছিলেন। তার ১২ দিনের মধ্যে বুধবার গাঁধীজির জন্মদিনে মধ্য কলকাতারই মুক্তারামবাবু স্ট্রিটে ফের একটি রক্তদান শিবিরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের সঙ্গে উপস্থিত হয়ে বিতর্ক উস্কে দিলেন সেই সোমেনবাবুই। দলের সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ কুণালের সঙ্গে পুলিশ-প্রশাসনের আচরণে তিনি ক্ষুব্ধ। এই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সোমেনবাবু অভিযোগ করেছেন, “কুণালের সঙ্গে সরকার ও প্রশাসন প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে!”
একটি বেসরকারি সংস্থা ছিল এ দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজক। তবে নেপথ্যে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী ও বড়বাজার কংগ্রেস সভাপতি সন্তোষ পাঠক। দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় সোমেনবাবুর কংগ্রেসে ফেরা নিয়ে জল্পনা চলছে। এই আবহেই এ দিন তিনি বলেছেন, “যখন কংগ্রেস ছেড়েছিলাম, তখন সবাইকে জানিয়েছিলাম। কংগ্রেসে ফিরলে সবাইকে জানিয়েই ফিরব!”
রক্তদান শিবিরে সোমেন মিত্র ও প্রদীপ ভট্টাচার্য। ছবি: রণজিৎ নন্দী।
প্রদীপবাবু বলেন, “গাঁধী বলতেন, রাস্তা যদি ভুল হয়, তবে লক্ষ্যও ভুল হবে। বামেদের মতো তৃণমূলও হিংসার রাজনীতির ভুল রাস্তায় গিয়ে রাজ্যের উন্নয়নের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে না।” প্রদীপবাবুর সুরেই সোমেনবাবু বলেন, “গাঁধীজির কথায়, অহিংসাই সত্য। হিংসার পথে গিয়ে সাফল্য আনা সম্ভব নয়।” তিনি রাজ্যে স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতির প্রসারে গুরুত্ব দেন।
সোমেনবাবুর এ দিনের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য নাম না-করেই কটাক্ষ করেছেন, “জেনে ভাল লাগছে, এক দিন যাঁরা কংগ্রেসকে নিশ্চিহ্ন করার কাজ শুরু করেছিলেন, আজ তাঁরাই স্বচ্ছ রাজনীতির কথা বলছেন!” রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী হিসাবে পার্থবাবু জানান, সোমেনবাবুর স্ত্রী, বিধায়ক শিখা মিত্রকে যে সাসপেন্ড করা হয়েছিল, সেই চিঠি বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে মঙ্গলবার পাঠানো হয়েছে। শিখাদেবীর আসন আলাদা করে দেওয়ার আবেদনও স্পিকারকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, খাদ্য সুরক্ষা আইনের সমর্থনে এ দিনই পথে নেমেছিল কংগ্রেস। বিধান ভবন থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত মিছিলের শেষে যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাজীব সতাভ এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধে বলেন, “মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে কেন্দ্র টাকা দিতে চাইছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন তা নিতে চাইছেন না?” এই আইনের বিরোধিতার জন্য তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশও। কলকাতায় তিনি তথ্য দিয়ে জানিয়ে গিয়েছেন, এই আইনে এ রাজ্যে খাদ্যশস্য পাঠানোর পরিমাণ এবং তাতে কেন্দ্রের ভর্তুকিও বাড়বে।

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.