প্রিমিয়ার লিগে গত বারের চ্যাম্পিয়নরা প্রথম ছ’টি ম্যাচের তিনটিতেই হেরে পয়েন্ট টেবলে ১২ নম্বরে। ব্রিটিশ মিডিয়ায় তুলোধোনা হচ্ছে ডেভিড মোয়েসের। প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ম্যান ইউ ফ্যানদের অনেকের দাবি ‘স্যর অ্যালেক্সকে ফিরিয়ে আনা হোক’। কিন্ত স্বয়ং অ্যালেক্স ফার্গুসন কিন্তু আবার আস্থা ভোট দিচ্ছেন তাঁর উত্তরসূরিকেই।
মে মাসে ম্যান ইউ ম্যানেজারের কেরিয়ারে ইতি টানার এত দিন পর মিডিয়ায় খোলাখুলি সাক্ষাৎকারে ফাগুর্সন বলে দেন, “ইউনাইটেড ভাল ম্যানেজারের হাতেই রয়েছে। মোয়েস ঠিক সব সামলে নেবে।” কিন্তু ম্যান ইউ-এর এই জঘন্য ফর্ম যদি চলতেই থাকে তা হলে কি তিনি প্রিয় দলকে বাঁচাতে আবার রক্ষাকর্তার ভূমিকায় নামবেন? উত্তরে ৭১ বছর বয়সি কিংবদন্তি কোচ বলেন, “ম্যানেজারের কাজে আর যোগ দেওয়ার কোনও ইচ্ছা নেই। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের কী হল না হল সেটা নিয়ে নিজেকে বেশি জড়াতেও চাই না। যদি আমার ম্যান ইউ ম্যানেজার হিসেবে ফিরে আসার উপরে কেউ বাজি ধরেন, তা হলে বলব অর্থটা জলে দিচ্ছেন।” সঙ্গে ফার্গি আরও যোগ করেন, “অবসর নেওয়ার সময়টা সঠিক ছিল। আমার এখন নতুন একটা জীবন রয়েছে। কেন্টাকি ডার্বি, ইউএস মাস্টার্স, মেলবোর্ন কাপে যাব। টাসকানি আর ফ্রান্সের আঙুরের খেতে ঘুরতে যাব।” |
ফার্গুসন আরও দাবি করেন বছর দশেক আগে রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচ চেলসি কেনার পরও তাঁকে ইউনাইটেড ছাড়ার লোভ দেখিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আব্রামোভিচের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। “এক এজেন্ট মারফত আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ওরা-- যখন আব্রামোভিচ প্রথম ক্লাব চালানোর দায়িত্ব হাতে নিয়েছিল। আমি বলেছিলাম কোনও চান্স নেই।”
মার্কিন এক টিভি চ্যানেলে প্রায় ঘণ্টাখানেকের সাক্ষাৎকারে ফার্গি ফাঁস করেছেন ২৬ বছরের সাম্রাজ্যে ইউনাইটেড ম্যানেজার হিসেবে ৩৮ ট্রফি জেতার রহস্যও। বলেন, ‘‘খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা পয়েন্ট হল, কারও বিরুদ্ধে কখনও রাগ পুষে না রাখা।’’ আর একজন ম্যানেজারের জীবনে সবথেকে খারাপ সময়? ফার্গির উত্তর, “যখন ফুটবলার তার সেরাটা দিতে পারে না। সেই অনুভূতিটা।”
|