লিও মেসি ছাড়াই বদলা নিল বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেল্টিকের কাছে গত বারের হারের। টাটা মার্টিনোর টিমের ১-০ গোলে স্কোরার ফাব্রেগাস। কিন্তু স্প্যানিশ ফুটবলার নন, গ্লাসগোয় বার্সার লড়াইয়ের স্পটলাইটে ‘ব্রাজিলের বোমা’।
৫৯ মিনিটে নেইমারকে ফাউলের পর পিঠে লাথি মেরে লাল কার্ড দেখেন সেল্টিকের ক্যাপ্টেন স্কট ব্রাউন। তার ঠিক ১৬ মিনিট পরেই অ্যালেক্সি স্যাঞ্চেজের সেন্টার থেকে দুরন্ত হেডে ফাব্রেগাসের গোল। প্রথমার্ধের পর বার্সা সমর্থকরা ধরেই নিয়েছিলেন ম্যাচ ড্রয়ের দিকেই এগোচ্ছে। কিন্তু ব্রাউনের একটা ভুলই নিল লেননের টিমের পরিকল্পনায় জল ঢেলে দেয়। ম্যাচের পর ড্রেসিংরুমে যে জন্য সেল্টিক ক্যাপ্টেন ক্ষমাও চান সতীর্থদের কাছে। |
সেল্টিক বস অবশ্য সাও পাওলোর ‘ওয়ান্ডার কিড’এর বিরুদ্ধে বেজায় খাপ্পা। লেননের অভিযোগ, নেইমার যতটা দেখাচ্ছিলেন চোট মোটেও ততটা লাগেনি। তবে ঘটনা হল, স্কট ব্রাউনকে উয়েফার আরও কড়া শাস্তি দেওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। নেইমার অবশ্য এ সব নিয়ে মোটেও ভাবছেন না। ম্যাচের পর বার্সা তারকা বলে দেন, “দারুণ ম্যাচ। খুব কঠিন লড়াই ছিল। শরীরের সব শক্তি শুষে নিয়েছিল। জেতার পর তাই এত ভাল লাগছে। এই টুর্নামেন্টে নামার জন্য মুখিয়ে ছিলাম। কারণ আমার কাছে এটা অন্যতম সেরা একটা টুর্নামেন্ট। তা ছাড়া টিমেরও এই জয়টা প্রয়োজন ছিল।”
নেইমারদের প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের প্রাক্তন ফুটবলার মেসুট ওজিল আবার এ দিনই বুঝিয়ে দিলেন তাঁকে ছেড়ে দেওয়াটা কার্লো আন্সেলোত্তিদের কত বড় ভুল। এমিরেটস স্টেডিয়ামে আর্সেনাল ২-০ হারাল নাপোলিকে। গোটা ম্যাচ জুড়েই ছিল জার্মান ফুটবলারের দাপট। দুটো গোলই প্রথমার্ধে। ওজিল ম্যাচের আট মিনিটে টিমের প্রথম গোলই শুধু করেননি, ঠিক সাত মিনিট পর ওলিভে জিরোউ-র জালে বল জড়ানোর পাসটাও সাজিয়ে দেন। |
মঙ্গলবারের ফল |
বার্সেলোনা ১ সেল্টিক ০
চেলসি ৪ স্টুয়া ০
আর্সেনাল ২ নাপোলি ০
আটলেটিকো ২ পোর্তো ১
|
আয়াখস ১ মিলান ১
শালকে ১ বাসেল ০
ডর্টমুন্ড ৩ মার্সেই ০
জেনিথ ০ উইয়েন ০ |
|
ম্যাচের পর আর্সেন ওয়েঙ্গারের উচ্ছ্বাসেই বোঝা যাচ্ছিল ওজিলকে নিয়ে তাঁর পরিকল্পনা কতটা সফল। আর্সেনাল ম্যানেজার বলে দেন, “প্রথমার্ধটা দারুণ খেলেছে টিম। গতিটা বজায় রেখেছে। দলগত স্কিল, ব্যক্তিগত স্কিল, ফিনিশিং, যা যা স্বপ্ন দেখা যায় সব কিছুই ছিল। ওজিল দুর্দান্ত। যখন মাদ্রিদে ছিল তখন থেকেই ওর খেলা আমার পছন্দ। আমরা ভাগ্যবান ওকে দলে পেয়েছি এ বার। ফুটবলটা ও দারুণ উপভোগ করে খেলে। শুধু তাই নয়, সতীর্থদের সঙ্গে আনন্দটা ভাগ করে নেয়। তাই এত দ্রুত টিমে মানিয়ে নিয়েছে।”
|