এ বার আর তিনি মাঠে নন, থাকবেন মাঠের বাইরে। গলা ফাটাবেন ভারতের জন্য। বা হয়তো তাঁর গলা ভেসে আসবে টিভি মারফত। যেখানেই থাকুন, সচিন তেন্ডুলকর একটা ছবি এখন থেকেই দেখতে পাচ্ছেন। ভারত অধিনায়কের হাতে বিশ্বকাপ। আর সেটা না হলেও, উপমহাদেশের বাইরে কাপ যাওয়ার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন না সচিন।
ঠিক ৫০০ দিন পরে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারত তাদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। দিনটা ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫। অ্যাডিলেডে সেই ম্যাচ নিয়ে এখন থেকেই ভাবনা শুরু করে দিয়েছেন সচিন। আইসিসি-র ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান বলেছেন, “পরের বিশ্বকাপে আমি তো ভারতেরই সমর্থক। দেশের ১০০ কোটি মানুষের মতো আমিও চাইব, আমাদের দলই চ্যাম্পিয়ন হোক। তা ছাড়া সেই সম্ভাবনাও দেখতে পাচ্ছি। তবে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাকেও উড়িয়ে দেবেন না। ওরাও ভাল কিছু করে দেখাতে পারে।” |
ভারতীয়দের অস্ট্রেলিয়ায় খেলা নিয়ে তেমন চিন্তিত নন সচিন। বলেছেন, “আমাদের বেশির ভাগ ক্রিকেটারই অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে খেলে এসেছে। ওরা জানে, ওখানে ওদের কীসের মোকাবিলা করতে হবে, কেমন ভাবে তা সামলাতে হবে।” বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে। চার টেস্টের সিরিজ ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডকে নিয়ে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজও খেলবে সেখানে। ওটাই ভারতের বিশ্বকাপের আসল মহড়া। সচিনের চিন্তা একটা ব্যাপারে। নিউজিল্যান্ডে গিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটাররা ঠিকমতো মানিয়ে নিতে পারবেন কি না। ১৯৯২-এর বিশ্বকাপে ডুনেডিনের ম্যাচের অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে সচিন বলেন, “সে দিন ওখানে খুব ঠান্ডা ছিল। হাওয়াও চলছিল জোর। হাওয়ার দিক থেকে বল ব্যাটে লাগালে তা এমনিতেই দশ গজ এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু হাওয়ার বিরুদ্ধে খেলতে গেলে দশ গজ আগেই বল থেমে যাচ্ছিল। তবে যেহেতু আগামী বছর শুরুতেই নিউজিল্যান্ডে যাবে ভারত, তাই সেই সময় সেখানকার আবহাওয়া ও পরিবেশ নিয়ে অভিজ্ঞতা বেশ কিছুটা হয়ে যাবে আমাদের ছেলেদের।” |