|
|
|
|
স্ত্রীকে খুনের ছক কষেন স্বামীই, জানাল পুলিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা |
স্ত্রীকে খুন করার জন্য ডাকাতির ছক কষেছিলেন স্বামী!
যাদবপুর সেন্ট্রাল রোডে এক প্রৌঢ়ার খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার সকালে তাঁর স্বামীকে গ্রেফতারের পরে এমনটাই দাবি তদন্তকারীদের। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) পল্লবকান্তি ঘোষ জানান, ধৃতের নাম সমীরণ ঘোষ (৬৬)। তিনি পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। তাঁকে তাঁর সেন্ট্রাল রোডের ফ্ল্যাট থেকে ধরা হয়।
১৭ জুলাই রাতে সেন্ট্রাল রোডের একটি বহুতলে খুন হন শম্পা ঘোষ (৫৫) নামে ওই প্রৌঢ়া। ঘটনার পরে তাঁর পরিচারিকা শিবানী মান্না পুলিশকে জানান, লুঠপাট করতে এসে দুষ্কৃতীরা খুন করেছে শম্পাদেবীকে। ২২ জুলাই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শম্পাদেবীর গাড়ির চালক তাপস মাইতি-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। গ্রেফতার করা হয় শিবানীকেও।
তদন্তকারীরা মনে করেছিলেন, শম্পাদেবীর টাকা-গয়না লুঠ করার উদ্দেশ্যেই তাপস ও শিবানী ছক কষেছিল। কিন্তু ধৃতদের জেরা করে অন্য একটি বিষয় তদন্তকারীদের সামনে আসে। পুলিশ সূত্রের খবর, জেরায় শিবানী তাঁর সঙ্গে সমীরণবাবুর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন। জানান, ওই সম্পর্কের কথা শম্পাদেবী জানতে পেরেছিলেন। তাই শম্পাদেবীকে খুনের ছক কষেছিলেন সমীরণবাবু।
পুলিশের দাবি, স্ত্রী শম্পাদেবীকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন সমীরণবাবুই। ভেবেছিলেন, বাড়িতে ডাকাত পড়বে এবং টাকা-গয়না হাতানোর ছলে ডাকাতেরা শম্পাদেবীকে খুন করে পালাবে। গাড়িচালক তাপস ও তার দুই সঙ্গীকে দিয়ে ডাকাতির ছক কষেন তিনি। খুনের আগে অবশ্য ওড়িশা পাড়ি দিয়েছিলেন সমীরণবাবু।
পুলিশ জানিয়েছে, শিবানীর বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করে তবেই সমীরণবাবুকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বুধবার ওই ব্যক্তিকে আলিপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
|
পুরনো খবর: ফ্ল্যাটে খুন গৃহকর্ত্রী, পরিচারিকাকে জেরা |
|
|
|
|
|