|
|
|
|
ফাঁকা বাড়িতে চুরি, গ্রেফতার পরিচারিকা
নিজস্ব সংবাদদাতা |
আলমারি ভেঙে টাকা-গয়না চুরির অভিযোগে বুধবার এক পরিচারিকা ও তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু গ্রেফতার হল। টাকা-গয়না মিলেছে।
পুলিশ জানায়, ধৃত পরিচারিকার নাম সুমিত্রা দে ওরফে রিনি (২০)। তার বাড়ি ওড়িশার জলেশ্বরে। এ দিন ভোরে রিনিকে সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয়। আর এক ধৃতের নাম সুরেন্দ্র পাত্র (২৫)। হাওড়ার সাঁতরাগাছিতে একটি মেসে থাকে ওই যুবক। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে ধরা হয়েছে ভবানীপুর থেকে।
ভবানীপুরের মোহিনীমোহন রোডের বাসিন্দা সুরঞ্জন ঘোষ মঙ্গলবার দুপুরে বাড়িতে চুরির অভিযোগ দায়ের করেন। বেসরকারি সংস্থার কর্মী ওই ব্যক্তি বুধবার জানান, রোজের মতো ওই দিনও মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে তিনি অফিস চলে যান। তাঁর স্ত্রী তানিয়া সকালেই কাজে বেরিয়ে যান। তাঁর শ্বশুরবাড়ি পাশেই। মেয়ে স্কুল ছুটির পরে সেখানেই থাকে। পরিচারিকা রিনিও রোজ বেলা দশটা নাগাদ চলে যায় সুরঞ্জনবাবুর শ্বশুরবাড়িতে। বিকেলে তানিয়া ও তাঁর মেয়ের সঙ্গে মোহিনীমোহন রোডের বাড়িতে ফেরে রিনি। মঙ্গলবার বেলা ১১টাতেও পরিচারিকা পৌঁছয়নি দেখে তানিয়াকে ফোন করেন তাঁর মা। তানিয়া ফোন করেন সুরঞ্জনকে। তিনি পরিচারিকাকে ফোন করলে, রিনি জানায় ঘণ্টা দেড়েক পরে পৌঁছে যাবে সে। ইতিমধ্যে দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ তানিয়া বাড়ি ফিরে ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে ঘরে ঢুকে দেখেন, আলমারির হাতল ভাঙা। লকার থেকে উধাও সমস্ত গয়না ও বেশ কয়েক হাজার টাকা। রিনির মোবাইল ফোন বন্ধ। তার জামাকাপড়ের ব্যাগও বাড়িতে নেই। |
|
উদ্ধার চুরি যাওয়া টাকা-গয়না। |
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, রিনির ঘনিষ্ঠ বন্ধু সুরেন্দ্র হরিশ মুখার্জি রোডের একটি দোকানে কাজ করে। তাকে ধরে জেরা করেন তদন্তকারীরা। পুলিশের দাবি, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেরার মুখে ওই যুবক জানায়, সাড়ে ১১টা নাগাদ রিনি তাকে ফোন করে মোহিনীমোহন রোডের একটি জায়গায় ডেকে পাঠিয়েছিল। পরিচারিকার হাতে তিনটি ব্যাগও ছিল। রিনি বাড়ির ঠিকানা তার থেকে পায় পুলিশ। এর পরেই সুরেন্দ্র পুলিশকে জানায়, ধর্মতলা থেকে বাস ধরে রিনি গ্রামের বাড়ি গিয়েছে।
তদন্তকারীরা ওই রাতেই সড়ক পথে সুরেন্দ্রকে নিয়ে জলেশ্বর রওনা হন। পুলিশের সঙ্গে ছিলেন সুরঞ্জনবাবুও। রিনির বাড়ি থেকে চুরির জিনিস উদ্ধারের সময়ে কিছু গয়না পাওয়া যাচ্ছিল না। সুরেন্দ্র জানায়, রিনি তাকে কিছু গয়না রাখতে দিয়েছিল। সেগুলি নিজের মেসে রেখে দিয়েছে সে। পরে সেই গয়নাও উদ্ধার করে পুলিশ।
রিনিকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে পুলিশ জানায়, ওই পরিচারিকা নকল চাবি তৈরি করিয়েছিল। তা দিয়েই সুরঞ্জনবাবুদের বাড়ির দরজা খোলে সে। |
|
|
|
|
|