দখলদার উচ্ছেদে নানা সমস্যার মুখে পড়ে এ বার আবাসন লিজ দেওয়ার অনুমতি চাইল ইসিএল। কলকাতা হাইকোর্টে সম্প্রতি একটি হলফনামা পেশ করে এই অনুমতি চেয়েছে তারা।
বছর চারেক আগে আইনজীবী পার্থ ঘোষ ইসিএলের বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তাঁর দাবি, ইসিএলের অধিকাংশ কর্মী আবাসনই বহিরাগতদের দখলে রয়েছে। ফলে আবাসন দিতে না পেরে এক দিকে যেমন অনেক কর্মীকে ভাতা দিতে হচ্ছে, অন্য দিকে জবরদখল আবাসনগুলিতে জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ করতেও কোটি-কোটি টাকা খরচ করছে সংস্থাটি। ইসিএল আদালতকে জানায়, সমাজবিরোধীদের দখলে থাকা কর্মী আবাসন তারা দখলমুক্ত করতে পারছে না। পুলিশও সাহায্য করছে না বলে অভিযোগ জানায় তারা। হাইকোর্ট পুলিশকে দখল উচ্ছেদে সাহায্য করার নির্দেশ দেয়।
সম্প্রতি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র এবং জয়মাল্য বাগচির এজলাসে ইসিএলের প্রতিনিধি একটি হলফনামা জমা দেন। সংস্থার সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় জানান, ওই হলফনামায় তাঁরা জানিয়েছেন, নানা ধরনের বাধায় তারা আবাসন থেকে দখলদার উচ্ছেদের কাজ করতে পারছেন না। এই কাজ করতে গিয়ে তারা এমন বাধার মুখেও পড়ছেন যার জেরে কোথাও খনির উৎপাদন পর্যন্ত ব্যাহত হচ্ছে। তা ছাড়া, এমন বেশ কিছু আবাসন এলাকা রয়েছে যেখানে ৭০ শতাংশ আবাসিক খনিকর্মী, বাকিরা বহিরাগত দখলদার। সেই সব জায়গায় বিদ্যুৎ এবং জলের সংযোগ ছিন্ন করলে খনিকর্মীরা বিপাকে পড়বেন। সে কথা ভেবে সেখানে সেই কাজ করা যাচ্ছে না। এই ধরনের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তারা কর্মী আবাসনগুলি লিজ দিতে চাইছে বলে আদালতকে জানিয়েছে ইসিএল। এ ব্যাপারে জনস্বার্থ মামলাকারী আইনজীবীর মতামতও জানতে চায় তারা।
আইনজীবী পার্থবাবু জানান, জনস্বার্থ বিঘ্নিত না হলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। তিনি আরও জানান, কী ভাবে তারা এই কাজ করতে চাইছে, তা আট সপ্তাহের মধ্যে ইসিএলকে হলফনামা জমা দিয়ে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। |