দলের হাইকমান্ডের নির্দেশ মেনে শেষ পর্যন্ত আগাম জামিনের আবেদন করলেন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী।
মঙ্গলবার বহরমপুর জজকোর্টে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অসিত দের এজলাসে অধীরের আইনজীবী কাঞ্চনলাল মুখোপাধ্যায় আগাম জামিনের আবেদন করেন। কাঞ্চনবাবু বলেন, “আদালত আবেদনটি গ্রহণ করেছে। বুধবার, গাঁধীজয়ন্তীর জন্য আদালত বন্ধ থাকবে। আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি কবে হবে তা জানা যাবে বৃহস্পতিবার।”
এ দিন দিল্লি থেকে টেলিফোনে অধীর বলেন, “দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলেই এখন আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছি। আগাম জামিনের আবেদনও করা হয়েছে। বহরমপুরে ফিরব, তবে কয়েক দিন পরে।”
এ দিন বহরমপুর আদালতে রেল প্রতিমন্ত্রীর আইনজীবী লিখিত ভাবে আবেদন করে জানান, পুলিশ চার্জশিটে অধীরের নামে অভিযোগ দায়ের করলেও অভিযোগের নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ নেই। তিনি জানান, ওই মামলায় ইতিমধ্যে যে আট জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁরা জামিন পেয়ে গিয়েছেন। অধীরকেও তাই জামিন দেওয়া হোক বলে আদালতে আর্জি জানিয়েছেন কাঞ্চনবাবু। তিনি বলেন, “তৃণমূল কর্মী কামাল শেখ খুনের বেশ কিছু দিন পরে তাঁর স্ত্রী ও কন্যা গোপন জবানবন্দিতে জানিয়ে ছিলেন যে তাঁদের ‘মনে হয়’ অধীর চৌধুরীর নির্দেশেই কামালকে খুন করা হয়েছে। মনে হওয়াটা কোনও প্রমাণ নয়। তা ছাড়া ওই খুনের ঘটনায় মূল এফআইআর-এ মন্ত্রীর নাম নেই। তাই সঙ্গত কারণেই জামিনের আবেদন করা হয়েছে।”
২০১১ সালের ১৫ মে সন্ধ্যায় বহরমপুরের মোহনের মোড়ের কাছে দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমায় খুন হয়েছিলেন কামাল শেখ। সেই সময়ে বাইকে ছিলেন তাঁর মেয়ে করিশমাও। জখম হয়েছিলেন তিনিও। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে প্রাথমিক ভাবে অভিযুক্তদের তালিকায় অধীরের নাম ছিল না। গত বছর নভেম্বর মাসে কামালের স্ত্রী নীলা হামিদ ও মেয়ে করিশমার গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে পুলিশ চার্জশিটে মন্ত্রীর নামও দাখিল করেছে বলে পুলিশ সূত্রে
জানা গিয়েছে। |