বেকসুর খালাস সিপিএম নেতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
রাষ্ট্রদ্রোহ ও বেআইনি অস্ত্র মজুত রাখার মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন ঝাড়গ্রামের সিপিএম নেতা প্রশান্ত দাস। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক পার্থসারথি চক্রবর্তী উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে প্রশান্তবাবুকে বেকসুর খালাস দেন। এ দিন বিকেলে আদালত থেকে বেরিয়ে প্রশান্তবাবু বলেন, “আমাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে টানা দশ মাস জেলবন্দি করে রাখা হয়েছিল। আদালতের রায়েই তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। বিচার ব্যবস্থার উপর আমি আস্থাশীল।” সিপিএমের ঝাড়গ্রাম (গ্রামীণ) জোনাল কমিটির সম্পাদক রবি সরকারেরও বক্তব্য, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে প্রশান্তবাবুকে মাওবাদী সাজিয়ে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়েছিল পুলিশ।” |
|
আদালত চত্বরে সিপিএম নেতা প্রশান্ত দাস। ছবি: দেবরাজ ঘোষ। |
গত বছর ২২ নভেম্বর ঝাড়গ্রামের চন্দ্রি অঞ্চলে সিপিএমের একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে গোলমালের জেরে গ্রেফতার হন সিপিএমের আগুইবনি লোকাল কমিটির সম্পাদক প্রশান্তবাবু। তিনি পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন চন্দ্রির আউসপাল গ্রামে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি পাইপগান, গুলি ও কিছু মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করে পুলিশ। গত ৩০ নভেম্বর প্রশান্তবাবুকে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় যুক্ত করা হয়। পরে ফের তাঁকে জেরা করে কলাবনির জঙ্গল থেকে মাওবাদী পোস্টার ও প্রচারপত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছিল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দু’দফায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটিতে প্রশান্তবাবুর বিরুদ্ধে পুলিশ ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। গত ১০ মে ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে মামলাটির বিচার শুরু হয়। ১৯জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত। সাক্ষীদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন পুলিশকর্মী।
এ দিন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী রাইচরণ রায় বলেন, “প্রশান্তবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে আদালত। উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে তাঁকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় নিঃশর্ত মুক্তি দিয়েছেন বিচারক।” সরকারি কৌঁসুলি প্রশান্ত রায়ের বক্তব্য, “এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।” |
পুরনো খবর: সিপিএমের মিছিল ঘিরে উত্তপ্ত চন্দ্রি |
|