|
|
|
|
টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন ঘাটাল, সুর কাটল পুজো প্রস্তুতির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
পুজোর মুখে মুখভার আকাশের। উত্সবের আর মাত্র দশ দিন। বেশির ভাগ এলাকায় পুজো মণ্ডপের কাজও প্রায় চূড়ান্ত। অথচ, সেই প্রস্তুতির সুর কেটেছে নিম্নচাপের টানা বৃষ্টিতে। ইতিমধ্যেই জলমগ্ন হয়েছে ঘাটাল মহকুমার বেশ কিছু অঞ্চল। নিকাশীর অভাবে ঘাটাল শহরের একাধিক প্যান্ডেল চলে গিয়েছে জলের তলায়। কোথাও কোথাও আবার সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে প্যান্ডেলে কাজ। ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়কের মনসাতলা চাতালে (কজওয়ে) প্রায় হাঁটুর সমান জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। সেখানে ছোট গাড়ি চললেও বন্ধ হয়ে গিয়েছে বড় গাড়ি চলাচল। এক কথায় পুজোর মুখে নিম্নচাপের টানা বৃষ্টি মানুষকে ম্লান করে দিয়েছে। আশ্বস্ত করেছেন ঘাটালের মহকুমাশাসক অদীপ রায়। মঙ্গলবার তিনি বলেন, “ঘাটাল-সহ মহকুমার বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হওয়ার একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে আর বৃষ্টি না হলে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।” |
|
জলমগ্ন ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়কের মনসাতলা চাতাল।—নিজস্ব চিত্র। |
ঘাটাল ব্লকে সাধারণত ৪০টিরও বেশি পুজো হয়। শহরের এক পুজো কমিটির কর্তা অরূপ মাঝি বলেন, “আমাদের প্যান্ডেলের ভিতর-বাইরে ঝুড়ি, বাঁশের নানা উপকরণ দিয়ে প্যান্ডেল তৈরি হচ্ছে। কিন্তু বৃষ্টির জন্য কাজ চার দিন হল বন্ধ।” ঘাটাল শহরেই যুব ক্রীড়া সংস্থার কাজ শুরু হয়েছিল ক’দিন আগেই। বাঁশের কাঠামোর কাজ শেষ। কিন্তু মূল কাজ শুরু আগেই প্যান্ডেল চলে গিয়েছে জলের তলায়। ওই পুজোর উদ্যোক্তা দীপক ঘোষাল, দেবপ্রসাদ দিন্দা, জহর ভুঁইয়ারা পুজো প্যান্ডেলের কাজ কবে শেষ করতে পারবেন তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন। দাসপুরের সুলতাননগরে এ বার পুজোর থিম ‘শষ্য ভান্ডার’। সেখানেও বাঁশের নানা উপকরণের সঙ্গে মাটির ঘট, থার্মোকল প্রভৃতি দিয়ে তৈরি প্যান্ডেলের কাজ শেষের মুখে। কিন্তু বৃষ্টির জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে প্যান্ডেল তৈরির কাজ। শিল্পী প্রসেনজিত মূলা উদ্বেগের সঙ্গে বলেন, “বৃষ্টির ফলে অনেক কাজ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিছু আবার নতুন করে করতে হবে। অথচ, শিয়রে পুজো!” একই সমস্যা বহু উদ্যোক্তাদেরই। গত মাসের টানা বৃষ্টি ও বাঁধের ছাড়া জলে বেশ কিছু দিন চরম দুরবস্থার মধ্যে ছিলেন ঘাটাল মহকুমার অধিবাসীরা। তারপর ক্রমশ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এই মহকুমা। কিন্তু গত তিন-চার দিনের টানা বৃষ্টিতে ফের নতুন করে উদ্বেগে বাসিন্দারা। |
|
|
|
|
|