|
|
|
|
সিপিএমের মিছিল ঘিরে উত্তপ্ত চন্দ্রি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
সিপিএমের মিছিলকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার উত্তেজনা ছড়াল ঝাড়গ্রামের চন্দ্রিতে। সিপিএমের হাতে তাদের ৩ জন সমর্থক জখম হন বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। আহতদের ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সিপিএমের পাল্টা অভিযোগ, পুলিশের উপস্থিতিতে তৃণমূলের লোকজনই মিছিলে হামলা চালায়। তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে রাতে সিপিএমের আগুইবনি লোকাল কমিটির সম্পাদক প্রশান্ত দাসকে আটক করেছে পুলিশ।
পঞ্চায়েতের অধিকার রক্ষা-সহ কয়েক দফা উন্নয়নমূলক দাবিতে ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে চন্দ্রি অঞ্চলে মিছিলের কর্মসূচি নিয়েছিল সিপিএমের আগুইবনি লোকাল কমিটি। সকাল এগারোটা নাগাদ হাজার খানেক মানুষের মিছিল শুরু হয়। পুরোভাগে ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ডহরেশ্বর সেন ও প্রশান্ত দাস। তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষের অভিযোগ, “সিপিএমের সশস্ত্র লোকজন জোর করে গ্রামবাসীদের ওই মিছিলে নিয়ে যায়। আমাদের সমর্থকরা তারই প্রতিবাদ করেন। অনিচ্ছুকদের মারধর করে টাঙির কোপ মারা হয়।” ডহরেশ্বরবাবুর পাল্টা অভিযোগ, “পরিকল্পিত ভাবে আমাদের মিছিল বানচালের চেষ্টা হয়েছিল। মিছিল করার জন্য আমরা আগেই পুলিশ-প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছিলাম। অথচ বুধবার শেষ মূহূর্তে ঝাড়গ্রামের এসডিপিও এবং আইসি স্থানীয় নেতৃত্বকে জানান, মাওবাদীদের শহিদ সপ্তাহ চলছে। ফলে মিছিল করা যাবে না। আমরাও জানিয়ে দিই, সব প্রস্তুতি সারা। মিছিল স্থগিত করা সম্ভব নয়।” মিছিল ধানঘোরি-চাতরপাড়ার কাছে পৌঁছতেই তৃণমূলের লোকজন রাস্তা আটকান বলে অভিযোগ ডহরেশ্বরবাবুর। তাঁর কথায়, “এরপর তৃণমূলের লোকজন বোমা ফাটিয়ে ও তির ছুড়ে মিছিল ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পুলিশের উপস্থিতিতেই তিন হামলাকারীকে ধরে ফেলে আমাদের লোকজন। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।” সিপিএমের আগুইবনি লোকাল কমিটির সম্পাদক প্রশান্ত দাসের অভিযোগ, “ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ একেবারে শাসক-দলের হয়ে কাজ করছে।” এ দিন সন্ধ্যায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়, কার্যকরী সভাপতি নির্মলবাবুরা চন্দ্রিতে যান। পরে হাসপাতালে আহতদেরও দেখতে যান তাঁরা। |
|
|
|
|
|