|
|
|
|
অপহৃত ভাই-বোন উদ্ধার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
চিট-ফান্ড সংস্থার পলাতক এক কর্তার ভাই-বোনকে অপহরণের অভিযোগে ওই সংস্থারই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
বুধবার দুপুরে তমলুকের পদুমপুর গ্রাম থেকে এক চিট-ফান্ড কর্তার ভাই-বোনকে অপহরণ করে নিয়ে যান কয়েকজন। তদন্তে নেমে তমলুক থানার পুলিশ জানতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগণার ক্যানিংয়ে আটকে রাখা হয়েছে অপহৃতদের। বৃহস্পতিবার সকালে ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে অপহৃত দু’জনকে উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় পাঁচ জনকে। জানা যায়, ধৃতেরা ওই চিট-ফান্ড সংস্থারই কর্মী-আধিকারিক। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ওই চিট-ফান্ড সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর শুভেন্দুবিকাশ দোলই, আধিকারিক জগদীশ হালদার, নরোত্তম রাহা, এজেন্ট উজ্জ্বল রাহা, অসিত গিরি। শুভেন্দুর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানার কল্যাণপুর গ্রামে। জগদীশ, নরোত্তম, উজ্জ্বলের বাড়ি ক্যানিংয়ে। অসিত গিরির বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ, শুক্রবার তাঁদের আদালতে তোলা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি সঞ্চয়-সংস্থা গড়ে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে অফিস খুলে এজেন্টদের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করতেন শুভেন্দু ও তাঁর কয়েকজন সঙ্গী। কলকাতার বাগুইআটিতে মূল অফিস ছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগণার ক্যানিংয়ে শাখা অফিস। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ওই সঞ্চয়-সংস্থা বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, সংস্থার অন্যতম কর্তা চন্দন বর্মনের খোঁজে বুধবার সকালে শুভেন্দু-সহ ১৫ জনের দল দুটি গাড়িতে চেপে প্রথমে হলদিয়া যায়। সেখানে চন্দনের ভাইয়ের কর্মস্থলে গিয়ে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে খোঁজখবর করেন তাঁরা। দুপুরে যান তমলুকের পদুমপুর গ্রামে চন্দনের বাড়িতে। তমলুকের বাড়িতেও নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে চন্দনের খোঁজ করেন তাঁরা। এরপর চন্দনকে না পেয়ে তাঁর ভাই আবির ও বোন সোমাকে গাড়িতে চাপিয়ে নিয়ে চলে যান। চন্দনের বাড়ির লোকজন সন্ধ্যায় তমলুক থানায় অপহরণের অভিযোগ জানান। তমলুক থানার পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে সোমা ও আবিরকে ক্যানিংয়ের এক জায়গায় আটকে রাখা হয়েছে। রাতেই তমলুক ও ক্যানিং থানার পুলিশের যৌথ একটি দল তল্লাশি শুরু করে। বৃহস্পতিবার ভোরে ক্যানিংয়ের জয়দেবপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে সোমা ও আবিরকে উদ্ধার করে পুলিশ। |
|
|
|
|
|