|
|
|
|
কমিটিতে সিলমোহর, নির্বাচকদের পছন্দের অধিনায়ক লক্ষ্মী |
তিন বার পিছিয়ে সেই বৃষ্টিতে ‘অপমৃত্যু’ চ্যালেঞ্জারের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এক দিকে, স্নেহাংশু আচার্য চ্যালেঞ্জার ট্রফিকে ‘বাঁচানোর’ কোনও রাস্তা খুঁজে না পেয়ে বাতিল ঘোষণা এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রবল অস্বস্তি। অন্য দিকে, সমালোচনার চোটে তড়িঘড়ি ইমার্জেন্ট ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠক ডেকে নির্বাচন কমিটি গঠন ও কোনও রকমে মুখরক্ষা।
মঙ্গলবারের সিএবি-তে দু’টো ঘটনাই পাশাপাশি ঘটে থাকল।
শহরের টানা বৃষ্টিতে মাঠের অবস্থা এতটাই বেহাল যে, চ্যালেঞ্জার ট্রফিকে বাঁচানোর আর কোনও উপায় পাওয়া গেল না। এ দিন সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে চ্যালেঞ্জারের দ্বিতীয় ম্যাচও বাতিল করে দিতে হয়। ঝাড়খণ্ডকে ফিরিয়ে দেওয়া হল, সিএবি যুগ্ম সচিব সুজন মুখোপাধ্যায়ও জানিয়ে দিলেন, চ্যালেঞ্জার এ বারের মতো শেষ। আর করা যাবে না। অস্ট্রেলিয়া থেকে তিন লক্ষেরও বেশি টাকা দিয়ে কেনা গোলাপি বল পড়ে রইল সিএবি-তে। চ্যালেঞ্জারের ফাইনাল যে প্রবল ঢক্কানিনাদ সমেত গোলাপি বলে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কর্তারা!
টুর্নামেন্ট কমিটির কোনও কোনও কর্তা বলছেন, “ফোরকাস্ট লিস্ট নিয়ে বসে আছি। বলছে, টানা আরও কয়েক দিন টানা বৃষ্টি চলবে। টুর্নামেন্ট কী ভাবে সম্ভব?” কিন্তু সিএবি-রই কোনও কোনও মহল থেকে পাল্টা প্রশ্ন উঠছে, তা হলে তিন বার বৃষ্টির কথা ভেবে টুর্নামেন্ট পিছিয়ে লাভ কী হল? কোনও বিকল্প ফর্মুলা তো বার করা গেল না। সেই বৃষ্টির মুখেই পড়তে হল, এবং টুর্নামেন্টেরও অপমৃত্যু।
যা পরিস্থিতি তাতে, বাইরে গিয়ে কোনও প্র্যাক্টিস ম্যাচের ব্যবস্থা করা এখন কঠিন বললেও কম বলা হয়। সব রাজ্যই এখন রঞ্জির চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। আর সেখানে লক্ষ্মীরতন শুক্লদের রঞ্জিতে নেমে পড়তে হবে কোনও ম্যাচ প্র্যাক্টিস না পেয়ে! অদ্ভুত হচ্ছে, লক্ষ্মীরা যখন ম্যাচ প্র্যাক্টিসের অভাবে ভুগছেন, তখন বাংলা অনূর্ধ্ব-১৯ কিন্তু ম্যাচ খেলতে শুরু করে দিয়েছে। পাতিয়ালায় ধ্রুবপাণ্ডব ট্রফিতে কেরলকে (১০৬) ধ্বংসের দিকে ঠেলে বাংলা আপাতত ১২৬-২। পাঁচ উইকেটও নিলেন প্রীতম চক্রবর্তী। বাংলা সিনিয়র টিমের কোচ অশোক মলহোত্র যে কোনও উপায়ে প্র্যাক্টিস ম্যাচ চাইছেন। বলছেন, “অন্তত নিজেদের মধ্যে টিম করে খেললেও হবে। কিন্তু ম্যাচ প্র্যাক্টিস ছাড়াই নামতে হলে বিশ্রী ব্যাপার হবে।”
সেটাও শেষ পর্যন্ত হবে কি না, সময় বলবে। তবে অধিনায়ক নির্বাচনের মতো ব্যাপারগুলো আর দু’এক দিনের মধ্যে মিটিয়ে ফেলতে চাইছে সিএবি। এ দিন সিনিয়র ও জুনিয়র নির্বাচন কমিটি গঠন হয়ে গেল। জুনিয়র নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান করা হল অরূপ ভট্টাচার্যকে। আর জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের জায়গায় এলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার অরিন্দম সরকার। দীপ দাশগুপ্ত নেতৃত্বাধীন সিনিয়র নির্বাচন কমিটিতে কোনও বদল নেই। এবং সিনিয়র নির্বাচক কমিটি থেকে যা ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে, তাতে ঋদ্ধিমান সাহা নয়, অধিনায়ক হিসেবে লক্ষ্মীরতন শুক্ল-র নাম পেশ করা হবে সিএবি প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়ার কাছে। বলা হচ্ছে, ইদানিং মিডিয়ায় বারবার অধিনায়কত্ব নিয়ে ‘বিকল্প দিলে করব না’ বলে ফেলেছেন ঋদ্ধি। যেটা নির্বাচকদের কেন, সিএবি কর্তাদেরও পছন্দ নয়। টিমের সহ অধিনায়ক হিসেবে ভাবা হচ্ছে অনুষ্টুপ মজুমদারকে।
|
পুরনো খবর: টিম ঘোষণা হতেই সরে দাঁড়ালেন অধিনায়ক লক্ষ্মী |
|
|
|
|
|