|
|
|
|
জিততে ভুলে গিয়েছে মহমেডান |
তানিয়া রায় • কলকাতা |
কালীঘাট এম এস ১ (সৈকত)
মহমেডান ১ (টোলগে) |
মহমেডানের গ্রাফ নামছেই!
আই লিগের পর কলকাতা লিগেও তাদের হাল ক্রমশ খারাপ হচ্ছে।
পেন-টোলগে-জোসিমারদের মতো তারকা থাকা সত্ত্বেও কেন এই অবস্থা? খোঁজ নিয়ে জানা গেল, কোচ আবদুল আজিজের স্ট্র্যাটেজি-ই না কি বুঝে উঠতে পারছেন না সাদা-কালো ফুটবলাররা! নিট ফল, কলকাতা লিগে কালীঘাট এমএসের মতো দুর্বল দলের বিরুদ্ধেই জিততে পারল না মহমেডান।
সোমবারও ছন্নছাড়া ফুটবল খেললেন ধনরাজন-গগনদীপ-কলিনরা। অসংখ্য মিস পাস, সেট পিসে ব্যর্থতা, গোলের কাছে পৌঁছেও তা নষ্ট করাসবই ছিল মহমেডানের খেলায়। এর জন্য অবশ্য দলের অনেক ফুটবলার কোচকেই দায়ি করছেন। তাঁদের দাবি, “কোচ কী চাইছেন, সেটাই তো বুঝতে পারছি না। ফলে সমস্যা হচ্ছে। সব তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে।” |
|
গোল না পাওয়ার হতাশা ভুলতে টোলগে ডুব দিলেন ট্যাবে।
মঙ্গলবার ম্যাচ শেষে। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস |
কোচ টিম নিয়ে রোজ পরীক্ষা নিরীক্ষা করার ফলে ফুটবলাদের মধ্যে চূড়ান্ত বোঝাপড়ার অভাব হচ্ছে। আজিজ অবশ্য ম্যাচের পর বললেন, “গোল নষ্ট করা বন্ধ হলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।”
এ দিন ম্যাচের শুরু থেকেই বৃষ্টি ভেজা মাঠে বড় স্টাড বুট ছাড়া খেলতে নেমে প্রথমেই সমস্যার মুখে পড়ে মহমেডান। একমাত্র দীপেন্দু বিশ্বাসই নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বড় স্টাডের বুট পড়ে নেমেছিলেন। ময়দানের কাঁদা মাঠে নিয়মিত অনুশীলনে অভ্যস্ত অরুণ ঘোষের ছেলেরা তাই শুরুতেই চাপে ফেলে দেয় টোলগেদের। এমনিতেই পেন না থাকার কারণে মহমেডানের মাঝ-মাঠের বেহাল দশা। রক্ষণও একই রকম খারাপ। সব মিলিয়ে কালীঘাটের আক্রমণের সামনে মোটামুটি নড়ে যায় সাদা-কালো রক্ষণের ভিত। সেই সুযোগেই গোল করে যায় সৈকত পাত্র। বিরতির পরও কালীঘাট এমএসের প্রাধান্যই ছিল বেশি। এমনকি ব্যবধান বাড়ানোর দু’টি সুযোগ পেয়েছিলেন ভীম ওঁরাও ও সৈকত পাত্র। কিন্তু কোনও মতে মহমেডানের মান বাঁচান কিপার সুখবিন্দর সিংহ ও সুখদেব মুর্মু।
মহমেডানও এ দিন অনেক সুযোগই পেয়েছিল। প্রথমার্ধেই ফাঁকা গোল পেয়েও টোলগে নিশানা ভুল করে বল বাইরে মারেন। সে সময় কালীঘাটের গোল হয়নি। মহমেডানের গোল পেয়ে গেলে হতো খেলার ফল অন্য রকম হতেই পারত। দ্বিতীয়ার্ধে তো অনেকগুলো সুযোগ নষ্ট করেছেন অজয়, ধনরাজন, কলিনরা। তারপর অবশ্য টোলগের হাত ধরেই সমতা ফেরায় মহমেডান। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকারের নিখুঁত প্লেসিং। গোল করেও অবশ্য খুশি নন টোলগে। মুখে বললেন, “আমার শরীর ভাল নয়। আজ খেলতেও চাইনি। কিন্তু কোচ বলেছে বলে দলের স্বার্থে মাঠে নেমেছিলাম। কিন্তু আমি জানি, আজ একশো শতাংশ দিতে পারিনি। দলকে জেতাতে পারিনি। তাই মন খারাপ।”
মহমেডান সূত্রের খবর অবশ্য, নিজের পছন্দের জায়গায় টোলগে খেলতে পারছেন না বলেই কোচের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না তাঁর। আজিজ তাঁকে প্রধানত ব্যবহার করছে পজিটিভ স্ট্রাইকার হিসেবে। কিন্তু টোলগে উইথড্রল স্ট্রাইকার হিসেবে খেলতে পছন্দ করেন। ইস্টবেঙ্গলে থাকাকালীন এই পজিশনে খেলেই সাফল্য পেয়েছেন তিনি। স্বভাবতই এই নিয়েই কোচের সঙ্গে মহমেডানের এক নম্বর স্ট্রাইাকারের মন কষাকষির চলছে। চাই মুখ বেজার টোলগে ওজবের।
মহমেডান: সুখবিন্দর, ধনরাজন, জাস্টিন, কলিন, সুখদেব, গগনদীপ, স্যামসন, ইমরান (ইসরায়েল), দীপেন্দু (অজয়), গৌরাঙ্গ, টোলগে।
|
|
|
|
|
|