‘ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসাই বারবার ফিরিয়ে আনে’
বিশ্বজোড়া অগণিত ভক্তকুলের তীব্র ভালবাসা ও ক্রিকেটের প্রতি অমোঘ আকর্ষণএই দুই বারবার তাঁকে নামিয়ে দেয় ক্রিকেটের বাইশ গজে। নামিয়ে দেয়, চোট থেকে অফ ফর্ম, এমনকী কর্কট রোগের মতো ‘প্রতিপক্ষ’-দের উড়িয়ে!
মঙ্গলবারের কলকাতায় ঝটিকা সফরে উপস্থিত হওয়া যুবরাজ সিংহ-র মুখে এমন কথাই শোনা গেল।
শোনা গেল, ঠিক কী দিয়ে তৈরি তিনি। জানা গেল, মারণ রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় প্রাক্তন-বর্তমান কোন কোন ভারতীয় ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলে জীবনের বাইশ গজে প্রত্যাবর্তনের মন্ত্র খুঁজতেন তিনি। যাঁদের কেউ সচিন তেন্ডুলকর, কেউ রাহুল দ্রাবিড়, কেউ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। যাঁকে নিয়ে মুহূর্তে বলে ফেলছেন, “বিশেষ করে দাদার কথা বলব। ও তো আমার প্রথম অধিনায়ক ছিল।” যুবরাজ বলে গেলেন, নিজেকে এখন দেখেন, ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত এক যোদ্ধা হিসেবে। সাহসের চলমান প্রতীক হিসেবে ভাবতে ভালবাসেন। অক্লেশে বলে যেতে পারেন, মানসিক শক্তি আর সাহস থাকলে এমন কঠিন রোগকেও পর্যদুস্ত করে ফিরে আসা যায় নিজের কাজে। কামব্যাকের ইচ্ছে থাকলে ফিরে আসা যায়। যুবরাজ বলেও দিলেন, “আমি যেমন নিজের কাজে ফিরতে পেরেছি। সেই কাজটা করতে পারছি যা আমি ভালবাসি। আরও কয়েকটা বছর ক্রিকেট খেলতে চাই।”
বিশ্রামে সিংহ। মঙ্গলবার শহরে এক অনুষ্ঠানে যুবরাজ। ছবি: উৎপল সরকার।
ভারতীয় ‘এ’ দলের জার্সিতে নামার আগে যা পরিস্থিতি ছিল, তিনি একবার ব্যর্থ হওয়া মানে জাতীয় দল থেকে মোটামুটি বরাবরের জন্য বিদায়। সেই অবস্থা থেকে ১২৩! কী ভাবে পারেন? আপনি কী দিয়ে তৈরি জিজ্ঞেস করা হলে যুবরাজ বলছিলেন, “শেষ কয়েকটা মাস খুব কঠিন গিয়েছে। সে দিক থেকে ফর্মে ফিরতে পারাটা অসাধারণ একটা ব্যাপার। আসলে আমি বা মনীষা (কৈরালা) আর নিজেদের ক্যানসার সারভাইভার হিসেবে ভাবি না। ভাবি, ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুুদ্ধে নামা এক যোদ্ধা হিসেবে।” একটু থেমে পরবর্তী সংযোজন, “ওই লড়াইটা আসলে নিজের সঙ্গে নিজের ভিতরের লোকটার। আর ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা, প্রচুর লোকের শুভেচ্ছা আমাকে বারবার ফিরিয়ে আনে। আমার এ ভাবে ফিরে আসার কারণ কিন্তু ক্রিকেট।”
আসন্ন ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ। প্রথম ম্যাচ রাজকোটে, আগামী ১০ অক্টোবর। নেমে পড়তে কতটা চেগে আছেন? এ বার যুবরাজের জবাব, “ঘরোয়া ক্রিকেটের কোনও ম্যাচ খেলতে নামলেও আমি এ রকমই চেগে থাকি। আশা করছি, ভারতের হয়ে আবার খেলব।” জিজ্ঞেস করা হল, মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের সময় যুবরাজ কী করছিলেন? “আমি আর জাহির খান তখন এয়াপোর্টের লাউঞ্জের টিভিতে বসে ম্যাচটা দেখছিলাম। ফ্রান্সে যাচ্ছিলাম তখন। টিভিতেই জয়ের মুহূর্তগুলো দেখি,” বলে দিলেন মৃত্যুঞ্জয়ী।

পুরনো খবর:




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.