ভারতকে ওয়ার্ল্ড গ্রুপে তোলাই এখন লক্ষ্য নতুন ক্যাপ্টেনের।
নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম সাক্ষাৎকারে আত্মবিশ্বাস ঝরে পড়ছে আনন্দ অমৃতরাজের গলায়। ভারতের ডেভিস কাপ টিমের নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেন হিসেবে প্রথম টাই মাস চারেক পরে, চিনা তাইপের বিরুদ্ধে। ক্যাপ্টেন হিসেবে প্রথম টাইয়ে নামার আগে অমৃতরাজ বলছেন, “ওরা ভাল টিম। তবে আশা করছি আমরা ওদের ঘরের মাঠে হারাতে পারব। ইয়েন সুন লু-কে নিয়েই চিন্তা। ওকে আমি অনেক দিনই চিনি। খুব ভাল প্লেয়ার।”
১৯৭৪ আর ১৯৮৭-র ডেভিস কাপ ফাইনালে ওঠা ভারতীয় টিমের অন্যতম সদস্য এখন পাখির চোখ করছেন সোমদেব দেববর্মনদের আবার ওয়ার্ল্ড গ্রুপে ওঠাটাই। তিনি বলে দেন, “আমাদের লক্ষ্য ওয়ার্ল্ড গ্রুপ। যেখানে আগেও খেলেছি। যখন রমেশ (কৃষ্ণন), বিজয়ের (অমৃতরাজ) সঙ্গে খেলতাম, তখনও। রাতারাতি সেখানে পৌঁছনো যাবে না। ওয়ার্ল্ড গ্রুপে উঠতে হলে আরও এক জন প্রথম ১০০-এ থাকা সিঙ্গলস প্লেয়ার চাই। সোমদেবের মতো।”
শুধু নন প্লেয়িং ক্যাপ্টেনের দায়িত্বই নয়, নিজের লক্ষ্যে এগোতে তাই দল নির্বাচনেও অংশ নিতে চান অমৃতরাজ। “আশা করছি দল নির্বাচনের অংশ হতে পারব। আর আমার পরামর্শে কাজ হবে। আমাদের সেরা টিমটাই বেছে নিতে হবে। শুধু র্যাঙ্কিং দেখলেই হবে না। এখনকার ফর্মও দেখতে হবে তার জন্য। ব্যক্তিগত ভাবে দুটো ম্যাচ জিততে হবে বলে আমি সিঙ্গলস নিয়ে চিন্তায়। এই নিয়ে এআইটিএ-র সঙ্গে কথা বলব,” বলেন তিনি।
শুধু নির্বাচনে অংশ নেওয়াই নয়, ওয়ার্ল্ড গ্রুপে ওঠার লক্ষ্যপূরণ করতে প্লেয়ারদের সমর্থনও অমৃতরাজের বড় ভরসা। বলছেন, “সবার সঙ্গেই আমার ভাল সম্পর্ক। নিয়মিত ই-মেল করি। দায়িত্বে আসার পর সব প্লেয়ারই মেল করেছিল অভিনন্দন জানিয়ে। প্রথম মেলটা পেলাম সোমদেবের থেকে। মহেশও অভিনন্দন জানিয়েছে।’’ তবে যত ভাল সম্পর্কই থাকুক সোমদেবদের বিদ্রোহ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। বলেন, “প্লেয়াররা যা মনে করেছিল সেটা করেছে। ওদের কাজটা ভাল হয়েছে না খারাপ, সেটা নিয়ে কিছু বলব না। ইন্দোনেশিয়া টাইয়ে ওদের দলে ফিরে আসাটা ভাল লক্ষণ।” পাশাপাশি ডেভিস কাপ ক্যাপ্টেন হওয়াটা যে তাঁর দীর্ঘ দিনের ইচ্ছে ছিল, জানাচ্ছেন অমৃতরাজ। “গত ১০ বছর ধরেই ডেভিস কাপ টিমের ক্যাপ্টেন হতে চেয়েছিলাম। ২০০২-এ এআইটিএ এক বার এই নিয়ে কথা বললেও তার বেশি আর এগোয়নি। দারুণ খুশি হয়েছি ক্যাপ্টেন হয়ে। আমাকে এই সম্মানটা দেওয়ার জন্য এআইটিএ আর প্লেয়ারদের ধন্যবাদ।”
তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার মতো সময় পাবেন? বেশির ভাগ সময়ই তিনি থাকেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ডেভিস কাপ টাইয়ের সময় ছাড়া তো প্লেয়ারদের পাবেনই না। দ্রুত প্রাক্তন টেনিস তারকা বলেন, “বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে বছরে চার-পাঁচ বার ভারতে আসি। তা ছাড়া প্লেয়াররাও টুর্নামেন্ট খেলতে ইউএস যায়। ওদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়ে যাব।”
তা হলে নতুন ক্যাপ্টেন আসার পরে আসন্ন বছরটা কি ভারতীয় টেনিসের জন্য ভাল যাবে? ‘উইনার’ মেরেই ম্যাচ শেষ করার মতো অমৃতরাজের জবাব, “২০১৪ সালটা একেবারে অন্য রকম একটা বছর হবে ভারতীয় টেনিসের জন্য। আগে কিছু সমস্যা ছিল ঠিকই। কিন্তু সে সব মিটে গিয়েছে। প্লেয়াররা যা চাইছিল, শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে। সামনের বছরটা মসৃণ ভাবেই এগোবে।”
|