ইন্ডিয়ান ব্যাডমিন্টন লিগে সাইনা নেহওয়ালের বিরুদ্ধে অতি-আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে দু’বারই হারতে হয় সম্মানের লড়াই। যে জোড়া হারের ধাক্কায় বিশ্ব চাম্পিয়নশিপে তাঁর ব্রোঞ্জ জেতা নিয়ে দেশজোড়া হইচই-এও পড়েছিল ভাঁটার টান। দিল্লির সিরি ফোর্টে ইন্টার-ইউনিট পিএসপিবি টুর্নামেন্ট খেলতে এসে নিজের রণকৌশলে সেই ভুল এ দিন কবুল করে নিলেন পুসারলা বেঙ্কট সিন্ধু।
হায়দরাবাদি মেয়ে অকপটে বললেন “রক্ষণ খোলা রেখে আমাকে আক্রমণে উঠতে দেখে সাইনা অল-আউট পাল্টা আক্রমণে চলে গিয়ে আমাকে হারিয়ে দেয়। দু’টো ম্যাচেই আমি ডিফেন্সে মারাত্মক সব ভুল করে বসি। সেই ভুলগুলো শুধরে ফেলতে হবে। নিজের ডিফেন্স নিয়ে আমি বাড়তি খাটা শুরু করেছি। অনুশীলনে জোর দিচ্ছি। যাতে ওই ভুলগুলোর পুনরাবৃত্তি না হয়। সাইনার কাছে পর পর হেরে হতাশ হয়ে পড়িনি। বরং ভুলের থেকে আমি অনেক শিক্ষা নিয়েছি। যেটা আগামী দিনে আমাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।” |
সদ্য অর্জুন পুরস্কার জিতেছেন। গত বছরের পারফরম্যান্সের জোরে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়েও প্রথম দশে ঢুকে পড়েছেন সিন্ধু। বছরটা বেশ ভাল কাটছে পাঁচ ফুট দশ ইঞ্চির অষ্টাদশীর। এ দিন জানিয়ে রাখলেন, তাঁর পাখির চোখ এক নম্বরের র্যাঙ্কিংটা। সিন্ধু বলছিলেন, “আপাতত বছরটা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ছয় বা সাতে থেকে শেষ করতে চাই। সামনের বছর আমার টার্গেট প্রথম পাঁচে ঢোকা। সেখান থেকে এক নম্বরের লক্ষ্যটার দিকে এগোতে হবে। এক নম্বরের র্যাঙ্কিংটাই আমার পাখির চোখ।” একটানা বলার পরে একটু থেমে যোগ করলেন, “আমি জানি, এক নম্বরে পৌঁছনোর রাস্তাটা ভীষণ কঠিন। কিন্তু আমি হাল ছাড়ার পাত্রী নই। ওই লক্ষ্যটা পাওয়ার জন্য আমি সব রকমের কষ্ট করতে রাজি আছি। এটুকু হলফ করে বলতে চাই, একদিন না একদিন নিজের লক্ষ্যে আমি পৌঁছোবোই!” প্রতিজ্ঞা ফুটে ওঠে তাঁর চোখেমুখে।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের পদকের পর তাঁর দুনিয়াটাই যে বদলে গিয়েছে, সেটা মানছেন। একটু লজ্জা লজ্জা ভাব করেই বললেন ‘‘আগে লোকে বিশেষ চিনতে পারত না। এখন যেখানে যাই, ক্যামেরার ফ্ল্যাশের ঝলকানিতে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। টিভি ক্যামেরা তো আছেই! আগে সাইনাকে নিয়ে হুল্লোড়টা দূরে দাঁড়িয়ে দেখতাম। অতটা না হলেও, আমাকে নিয়েও কিন্তু এখন হইচই হয়।” এবং স্বীকারোক্তি, “খারাপ লাগে না। বরং বেশ ভালই লাগে।” |