তিস্তা সেচ প্রকল্পের ডান হাতি খাল তৈরির কাজের সময়সীমা কোনওভাবেই বাড়ানো হবে না বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী চার বছরের মধ্যেই মালদহ পর্যন্ত ডান হাতি খাল তৈরির কাজ শেষ করা হবে বলে দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। প্রায় ৮০ কিলোমিটার খাল তৈরির জন্য অন্তত হাজার একরের বেশি জমনি অধিগ্রহণ করতে হবে সেচ দফতরকে। সেই জমির নথিপত্র ইতিমধ্যেই মহাকরণে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। রবিবার শিলিগুড়িতে তিস্তা সেচ ভবনে প্রকল্পের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন সেচমন্ত্রী। ওই বৈঠকেই স্থির হয়েছে, চলতি বছর পুজোর পরেই ডান হাতি খাল তৈরির টেন্ডার সহ অনান্য প্রক্রিয়া শুরু হবে।
রবিবার বৈঠকের পরে সেচমন্ত্রী রাজীববাবু বলেন, “ডান-হাতি খাল তৈরির জন্য প্রাথমিক ভাবে প্রায় তিনশ কোটি টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে। আগামী চার বছরের মধ্যে খাল তৈরির সেই কাজ শেষ করতে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। সেই সময়সীমা যেন কিছুতেই লঙ্ঘিত না হয় তার জন্য এদিনের বৈঠকে আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের অগ্রগতির কাজ দেখতে প্রতি মাসে বৈঠক করব।” |
বর্তমানে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া পর্যন্ত তিস্তা সেচ খাল রয়েছে। সেচ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের রূপরেখা অনুযায়ী ডান হাতি খালকে ডায়ুক-নাগর মেইন ক্যানেলের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। সেই ক্যানেল আবার যুক্ত হবে নাগর-টাঙন ক্যানেলে। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী চার বছরে চোপরা থেকে ক্যানেল সম্প্রসারিত করে মালদহের ডায়ুক-নাগর ক্যানেলে নিয়ে যাওয়া হবে। ক্যানেল তৈরি হলে দেড় লক্ষ হেক্টর জমিতে সেচের সুবিধে পাবে।
পাশাপাশি, গজলডোবায় নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গজলডোবায় রাজ্য সরকারের মেগা পর্যটন প্রকল্পের অঙ্গ হিসেবেই সেচ দফতর ওই কাজ করবে। ইতিমধ্যেই গজলডোবায় সরকারি জমি সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন পেশাদার সংস্থাকে গজলডোবায় বিনিয়োগ করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে রাজ্য সরকার। সে কারণেই এলাকার নিকাশি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এদিনের বৈঠকে গজলডোবা নিকাশির জন্য দ্রুত বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নিদের্শেই গজলডোবায় নিকাশির কাজ করা হচ্ছে। গজলডোবায় পর্যটন কেন্দ্র গড়তে নিকাশি ব্যবস্থা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।” |