পুরসভা এবং শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তরফে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এসজেডিএ’র তরফে নির্মাতাদের নোটিস দিয়ে কীসের ভিত্তিতে কাজ করা হচ্ছে সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছে। তার পরেও রাতের অন্ধকারে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের উল্টো দিকে কয়েকটি ওষুধের দোকানের নির্মাণ কাজ চুপিসারে চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুরসভা এবং এসজেডিএ’র নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে গভীর রাতে কাজ করা হলেও কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এসজেডিএ’র মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক শরদ দ্বিবেদী বলেন, “পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। নোটিশ দেওয়ার মতো নির্মাতাদের কাউকে পাওয়া না গেলেও তা নির্মীয়মাণ দোকানের সামনে সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার পরেও তারা নির্মাণ কাজ চালালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ নেওয়া হবে।”
নির্মাতারা অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁরা নির্মাণ কাজ করছেন না। অথচ মুখে এ কথা বললেও গভীর রাতে তারা দোকানের নির্মাণ কাজ চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত জানিয়েছেন, পুরসভার তরফেও তাদের কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এমনকী ওই সমস্ত দোকানের নির্মাতারা কাজ করছেন না বলেও জানিয়েছেন। তার পরেও রাতের অন্ধকারে কাজ চললে পুরসভার তরফেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব্যবসায়ীদের একাংশও বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন। কেন না নিবেদিতা মার্কেটের ওই জায়গা রেলের। তাদের কাছ থেকে জায়গাটি এসজেডিএ-কে হস্তান্তর করার কথা। তার জন্য রেল কর্তৃপক্ষকে এসজেডিএ’র তরফে টাকাও দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এসজেডিএ’র তরফে সেখানে মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে। সে কারণে কিছু দোকান এ ভাবে নির্মাণকাজ চালালে ভবিষ্যতে তা সমস্যার কারণ হবে বলে এসজেডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। তা ছাড়া আগেও লাগোয়া কয়েকটি ওষুধের দোকান অবৈধ ভাবে নির্মাণ কাজ চালায় বলে অভিযোগ উঠেছিল। এসজেডিএ’র তরফেও সে বার পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। পুরসভার তরফেও একই ভাবে কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। অথচ সে সবের পরেও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় মালিকেরা গভীর রাতে অতিরিক্ত কর্মী লাগিয়ে দোকানের নির্মাণ কাজ শেষ করে নেয় বলে অভিযোগ। পুরসভা এবং এসজেডিএ যথাযথ ব্যবস্থা নিতে উদাসীন বলে এ বারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ী বাসিন্দাদের একাংশই অভিযোগ তুলেছেন।
ব্যবসায়ীদের একাংশ জানিয়েছেন, লাগোয়া চারটি দোকান এক সঙ্গে একটি কোম্পানি খুলে একযোগে ব্যবসার পরিকল্পনা নিয়েছেন। সেই মতো তারা চারটি দোকান ভেঙে একটি বড় দোকানের পরিকাঠামো গড়ছেন। কিন্তু নির্মাণ কাজের জন্য কোনও অনুমোদন তাদের কাছে নেই বলে অভিযোগ। |