অবৈধ নির্মাণে অভিযুক্ত ৪ দোকান
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
কোনও রকম অনুমতি ছাড়াই অবৈধ নির্মাণ কাজের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন ওষুধ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। নকশা অনুমোদন না করিয়ে তাঁরা দোকান ভেঙে স্থায়ী নির্মাণ কাজ করছেন বলে অভিযোগ। বর্তমানে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের সামনে থাকা ৪ টি দোকান ভেঙে একটি বড় দোকান তৈরি করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরাই জানান, আগে তাঁদের আলাদা দোকান থাকলেও এখন ৮ জন ব্যবসায়ী একযোগে একটি কোম্পানি গড়ে একটি ওষুধের বড় দোকান করছেন। প্রথম দফায় ৪টি দোকান এক করা হয়েছে। সে সময়ও অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুর কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসন ব্যবস্থা না নেওয়ায় তাঁরা কাজ শেষ করে নেন। |
এই দোকানগুলির নির্মাণ নিয়েই উঠেছে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
এ বার দ্বিতীয় দফায় অপর ৪ টি দোকান ভেঙে এক করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ পৌঁছেছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের কাছেও। তিনি শিলিগুড়ি পুর কমিশনারকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। ‘কোনও কিছুর বিনিময়ে’ পুর কর্তৃপক্ষ এই কাজ করতে মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগও তুলেছেন গৌতমবাবু। বৃহস্পতিবার পুরসভার বাস্তুকাররা নির্মাণ কাজের জায়গা খতিয়ে দেখেন।তার পর পুর কর্তপক্ষ কাজ বন্ধের নিদের্শও দিয়েছেন। শিলিগুড়ির নিবেদিতা মার্কেটে যেখানে ওই নির্মাণ কাজ হচ্ছে তা রেলের জায়গা। রেলের কাছ থেকে ওই মার্কেট শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করার কথা। সে জন্য রেলকে টাকাও দিয়েছে এসজেডিএ কর্তৃপক্ষ। তবে নথিপত্র এখনও হস্তান্তর হয়নি। ভবিষ্যতে সেখানে এসজেডিএ’র তরফে নির্মাণ কাজ করার কথা। রেলের ওই জায়গায় স্থায়ী নিমার্ণ নিষিদ্ধ। তা ছাড়া স্থায়ী নির্মাণ কাজ হলে পরে এসজেডিএ’কেও সমস্যায় পড়তে হতে পারে। তা ছানা আগের বার নির্মাণ কাজ চললে এসজেডিএ’র তরফে পুলিশে অভিযোগ জানানোও হয়েছিল।
অভিযুক্ত ব্যবসায়ীদের অন্যতম তপন সা হা বলেন, “সব দোকান মিলে একটি কোম্পানি গড়ে ব্যবসা করা হবে। তা চানা আমরা কোনও খারাপ কাজ করছি না। এখানে অনেক বেকারের কর্ম সংস্থানও হচ্ছে। তা ছাড়া স্থায়ী নির্মাণ কিছু করা হচ্ছে না। লোহার পরিকাঠামো তৈরি করে দোকান মেরামত করা হচ্ছে। মাত্র।” অপর ব্যবসায়ী প্রদীপ পাল জানান, নতুন ভাবে নির্মাণ কাজের ব্যাপার নেই। আমরা ৪ জন ব্যবসায়ী মিলে বর্তমানে দোকান মেরামত করছি।” তা ছানা অনুমতি নিতে চাইলে রেল, না এসজেডিএ কার থেকে নেবেন সেটা স্পষ্ট নয় বলে তাঁরা দাবি করেন। নকশা অনুমোদন ছাড়া কী ভাবে কাজ হচ্ছে তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। বুধবারই অভিযোগ পেয়ে পুর কমিশনারকে ফোন করে জানতে চান? তিনি বলেন, “পুরসভা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্ব হাসপাতালের। তার সমানে কোনও রকম নকশা ছাড়া কাজ চলছে। পুরসভার তরফে কেন কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।” অবৈধ নির্মাণ নিয়ে ক্ষুব্ধ মন্ত্রীর কথায়, দফতরের ঘরে বসে না থেকে বাস্তুকারদের নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষ দেখুক। কেন এভাবে শহরের মধ্যে বেআইনি নির্মাণ কাজ চলছে মন্ত্রী হিসেবে তিনি তা জানতে চান। তাঁর অভিযোগ, “কোন কিছুর বিনিময়ে এ কাজ চ্ছে।” এভাবে একের পর এক বেআইনি নির্মাণ হওয়ায় মেয়রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “অবৈধ নির্মাণ বরদাস্ত হবে না। বাস্তুকাররা নির্মাণের কাজের জায়গা দেখে এসেছেন। অনুমোদন ছাড়া সব নির্মাণ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।”
|