এসজেডিএ দুর্নীতি, আন্দোলনে কংগ্রেস
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি |
শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে দুই শহরে একযোগে আন্দোলনে নামল কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির মহকুমা শাসকের দফতরে স্মারকলিপি দিয়ে এসজেডিএর প্রাক্তন মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক সহ অভিযুক্ত সকলের গ্রেফতারির দাবি জানায় মহকুমা কংগ্রেস কমিটি। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে লেখা ওই স্মারকলিপিতে প্রাক্তন মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিককে গ্রেফতারের অনুমতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়। জোড়াপানি নদীতে মাটি তোলার কাজ, ত্রিফলা আলো বসানোতেও দুর্নীতি হয়েছে অভিযোগ করে তদন্তের দাবি জানায় কংগ্রেস।, একই দিনে এসজেডিএর জলপাইগুড়ি অফিসেও স্মারকলিপি দিয়েছে শহর ব্লক কংগ্রেস। এসজেডিএকে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান’ বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ্য করে কংগ্রেসের দাবি, ওই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শহরের সার্বিক উন্নতি সম্ভব নয়। তাই পৃথক উন্নয়ন পর্ষদের দাবিও জানিয়েছে জলপাইগুড়ি কংগ্রেস।
শিলিগুড়ি মহকুমা কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুজয় ঘটকের অভিযোগ, “এই মুহুর্তে সব থেকে বড় আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িয়ে রয়েছে এসজেডিএ। যিনি এই দুর্নীতির মূল অভিযুক্ত তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না, তাঁর দ্রুত গ্রেফতারের অনুমতি দেওয়া হোক। ওই দাবিতে, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর গণ স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হবে।” অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি শহর ব্লক কংগ্রেস কমিটির সভাপতি তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পিনাকী সেনগুপ্তের অভিযোগ “যে প্রতিষ্ঠান শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ি, দুই শহরের উন্নয়নের মঞ্চ হতে পারত, সেই প্রতিষ্ঠান এখন শুধুমাত্র ঠিকাদারি আর প্রমোটারি করতে ব্যস্ত। তাই দুর্নীতির এত রমরমা। উন্নয়নের জন্য এমন দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের ভরসায় থাকতে রাজি নই। পৃথক উন্নয়ন পর্ষদ চাই।”
যদিও দুই শহরে কংগ্রেসের দুই স্মারকলিপিতে কোনও ভিত্তি বা যুক্তি নেই বলে দাবি করেছেন এসজেডিএর চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, “দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দলের নেতাদের দাবি নিয়ে কী মন্তব্য করব! এসজেডিএতে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। এটা দৃষ্টান্ত। তদন্ত চলছে। শেষের পরে সকলেই সবকিছু জানতে ও দেখতে পাবে।” জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেসের তরফে এ দিন শহরের উন্নয়নে বঞ্চনার অভিযোগও করা হয়েছে। গৌতমবাবু বলেন, “কোথায় কী উন্নয়ন হয়েছে, তা জানতে কেউ চিঠি দিলে আমরা তাঁর উত্তর দেই। ওনারা যদি কিছু জানতে চান তাও জানানো হবে। আর এসজেডিএ বোর্ডে কংগ্রেসের সদস্যরাও তো রয়েছেন।”
তিনটি বৈদ্যুতিক চুল্লি নির্মাণ সহ মহানন্দা অ্যাকশন প্ল্যানের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে, এসজেডিএ-র তিন বাস্তুকার সহ ঠিকাদার সংস্থার কর্ণধারদের ধরেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে চারটি মামলা দায়ের হয়েছে। এসজেডিএ-র বাস্তুকার মৃগাঙ্কমৌলি সরকার, সপ্তর্ষি পাল, প্রবীণ কুমার গ্রেফতার হয়। বরাত পাওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ইউরেকা ট্রেডার্স ব্যুরোর কর্ণধার অজিত বন্দোপাধ্যায় এ তাঁর ছেলে দেবব্রত বন্দোপাধ্যায়, নিউ ইন্ডিয়ার তাপস বসু অজয় মৈত্রকে এছাড়াও আরও ঠিকাদার সংস্থার মালিক শঙ্কর পালকে। ধরা হয় ঠিকাদার সংস্থার কর্মী অমল কৃষ্ণ সাহাকে।
|