ফের শুরু আন্দোলন, আজ কর্মবিরতি
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
দ্রুত সার্কিট বেঞ্চের কাজ শুরু করার দাবি করে ফের আন্দোলন শুরু হল জলপাইগুড়ি শহরে। আজ শুক্রবার জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশন এক দিনের কর্মবিরতি পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে এ দিন জেলা আদালতের স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ার জেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে জরুরি বৈঠকে বসে জলপাইগুড়ি অ্যাসোসিয়েশন। সার্কিট বেঞ্চের কাজ দ্রুত শুরু করার দাবিতে লাগাতার আন্দোলন শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে ওই বৈঠকে। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে স্থির হয়েছে, রাজ্যের সব স্বীকৃত রাজনৈতিক দল এবং উত্তরবঙ্গের সবকটি বার অ্যাসোসিয়েশনকে পুরো পুরস্থিতি জানিয়ে, জলপাইগুড়ির আন্দোলনের পাশে থাকার আর্জি জানানো হবে। আন্দোলনে সাধারণ বাসিন্দাদেরও সামিল করে সার্কিট বেঞ্চ দাবি আদায় সমন্বয় কমিটিও দু’একদিনের মধ্যেই বৈঠকে বসতে চলে বলে জানিয়েছে।
বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অভিনন্দন চৌধুরী বলেন, “সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে নতুন করে যে টালবাহানা শুরু হয়েছে তার দ্রুত নিষ্পত্তির দাবিতে শুক্রবার কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সার্কিট বেঞ্চের কাজ শুরু করার দাবিতে জেলা জজের মাধ্যমে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে স্মারকলিপি পাঠানো হবে।” গত সেপ্টেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জয়নারায়ণ পটেলের উপস্থিতিতে জলপাইগুড়ি পাহাড়পুরে সার্কিট বেঞ্চের জন্য অধিগৃহীত প্রায় ৪০ একর জমিতে স্থায়ী ভবন তৈরির শিলান্যাস হয়। স্থায়ী ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গেলে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন সংলগ্ন জেলা পরিষদের ডাকবাংলো সংস্কার করে তৈরি করা সার্কিট বেঞ্চের অস্থায়ী ভবনে বেঞ্চের কাজ শুরু করার আর্জি জানানো হয় রাজ্য সরকারের তরফে। সেই সময়ে অস্থায়ী ভবনটি পরিদর্শন করেছিলেন হাইকোর্টের প্রতিনিধি দল। এর পরে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে স্থায়ী ভবনের নির্মাণ কাজ শুরুর চার দিনের মাথায় হাইকোর্টের নির্দেশে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। স্থায়ী ভবনের নকশা সন্তোষজনক নয় বলে হাইকোটের তরফে রাজ্য সরকারকে জানিয়ে দেওয়া হয়। সম্প্রতি রাজ্যের আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য শিলিগুড়িতে এসে জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে জানান, হাইকোর্টের আপত্তির পরে ফের স্থায়ী ভবনের নকশা তৈরি করে হাইকোর্টে পেশ করা হয়েছিল, তবে হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়, স্থায়ী ভবন তৈরির জন্য আরও জমি প্রয়োজন। এর পরেই সার্কিট বেঞ্চের কাজ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। রাজ্য সরকারের তরফেও এ বিষয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করা হবে বলে আইনমন্ত্রী জানিয়েছিলেন। সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে, নিজেরাও আন্দোলন শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশন। |
পুরনো খবর: কাজ শেষ ২০১৪’তে |