অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে অবশেষে ভিসা-সমস্যা মিটল মেহতাবদের। যে বিমানে ওঠার অনুমতিপত্র রবিবার দুপুর বারোটার মধ্যে আসার কথা, তা এএফসি-র হস্তক্ষেপে বিকেল সাড়ে চারটের পরে হাতে পেলেন কুয়েতগামী ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক-সহ আরও সাত সদস্য।
কেন এই হেনস্থা? রহস্যের সমাধানে মাঠে নেমে পড়েছেন লাল-হলুদ কর্তারা। শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলছিলেন, “প্রতি আধ ঘণ্টায় ফেডারেশনের মাধ্যমে আমরা এএফসি-কে মনে করিয়েছি, এখনও ভিসা হাতে পাইনি। পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষার পরে ছাড়পত্র আসে। তখন হন্তদন্ত হয়ে বিমানবন্দরে ছুটতে হয় ফুটবলারদের। এই ভাবে খেলা যায়? আমরা ম্যাচ পিছনোর আবেদনপত্র পাঠিয়েছি এএফসি-র কাছে। ম্যাচ কমিশনারের কাছেও আবেদন করব।” |
কুয়েত বিমানবন্দরে ভাসুমের সঙ্গে ওপারা। ছবি: ফেসবুক। |
এর পর আবার কুয়েত পৌঁছে দেখা যায়, ডিফেন্ডার রবার্টের ভিসার সব কাগজপত্র আসেনি। দরকারি কাগজপত্র না থাকায় বিমানবন্দরেই প্রায় আড়াই ঘণ্টা আটকে রাখা হয় তাঁকে। সমস্যা আরও আছে। কুয়েতে পানীয় জলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় অসম্ভব হয়রানির মুখে চিডিরা। ফুটবলারদের জন্য পানীয় জল সরবরাহ করার দায়িত্ব আয়োজক ক্লাব কুয়েত এফসি-র। কিন্তু কোনও কারণে আয়োজক ক্লাব কর্তৃপক্ষ সেই ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ। ইস্টবেঙ্গল যে হোটেলে উঠেছে, সেই হোটেল থেকে প্রত্যেককে মাথাপিছু মাত্র দু’বোতল জল দেওয়া হয়েছে।
চরম নাজেহাল পরিস্থিতির মধ্যেই কুয়েতে অধিনায়ক ছাড়া অনুশীলনে নেমে পড়লেন ইস্টবেঙ্গল কোচ মার্কোস ফালোপা। কুয়েত দলের গড় উচ্চতা ৬ ফুট। সেটা মাথায় রেখে এ দিন পাসিং ফুটবলের উপর জোর দিলেন ফালোপা। রক্ষণের সংগঠন মজবুত করতে আলাদা করে সময় দিলেন ওপারা-নওবাদেরও। তবে অন্যতম প্রধান স্টপার অর্ণব মণ্ডল না থাকায় সমস্যায় পড়েন তিনি। |
