শিলিগুড়ির জোড়াপানি নদীর সংস্কার ও বাঁধ সংস্কারের কাজে অন্তত ৮ কোটি টাকা তছরুপের আশঙ্কায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
প্রধাননগর থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ করেন এসজেডিএ-এর সুপারিনটেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়র দীপেশ বণিক। অভিযোগে নির্দিষ্ট করে কারও নাম না থাকলেও দফতরের বাস্তুকারদের একাংশ এবং ঠিকাদার সংস্থার যোগসাজশেই যে ওই টাকা নয়ছয় হয়েছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত এসজেডিএ। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার, কারলিয়াপ্পন জয়রামন বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। সব দিক খতিয়ে দেখাও শুরু হয়েছে।”
এসজেডিএ সূত্রের খবর, ২০১২ সালে শিলিগুড়ি শহরের উপকণ্ঠের জোড়াপানি নদীতে মাটি কাটা ও বাঁধ তৈরির বরাত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বোর্ডের বৈঠকেও তা অনুমোদিত হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে দেখিয়ে প্রায় ৮ কোটি টাকা ঠিকাদার সংস্থাকে দেওয়া হয়।
কাগজে-কলমে দেখানো হয়, ১ লক্ষ ঘন মিটার মাটি কাটা হয়েছে। কিন্তু, ওই বিপুল পরিমাণ মাটি এত কম সময়ে কী করে কাটা হল, কোথায়ই বা তা সরানো হল সে ব্যাপারে ঠিকাদার মহলেই প্রশ্ন ওঠে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেবের কাছেও অভিযোগ পৌঁছয়। এসজেডিএ-এর তৎকালীন চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্যের দাবি, তাঁকে অন্ধকারে রেখেই ওই কাজ হয়েছিল।
এসজেডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দলকে নানা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই মহানন্দা অ্যাকশন প্ল্যান নিকাশি প্রকল্প, তিনটি শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানোর প্রকল্প, শহরে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর প্রকল্পে পুলিশ ৬০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করেছে।
|