ফের সেনার উপরে হামলা, মিলল অনুপ্রবেশের খবরও
৮ ঘণ্টার ব্যবধানে কাশ্মীরে ফের নিজেদের অস্তিত্বের প্রমাণ দিল জঙ্গিরা। এবং তা মিলল মনমোহন সিংহ-নওয়াজ শরিফ বৈঠকের আগের দিনই।
বৃহস্পতিবার জম্মুর হিরানগর থানা ও সাম্বা সেনা ছাউনির হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছিলেন। শনিবারের হামলা অবশ্য ততটা মারাত্মক হয়নি। শ্রীনগরের সেনা মুখপাত্র নরেশ ভিগ জানান, এ দিন বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ হায়দরপুরা বাইপাসে মোটরবাইকআরোহী দুই জঙ্গি নিরাপত্তা বাহিনীর টহলদারি দলকে লক্ষ করে গুলি ছুঁড়ে পালায়। পাল্টা গুলি চালায় সেনা-ও। এই সময় আতঙ্কে পালাতে গিয়ে আহত হন এক নাগরিক। ঘটনার পর তল্লাশি অভিযান শুরু হলেও রাত পর্যন্ত কাউকে পাকড়াও করা যায়নি।
ঘটনাচক্রে, এ দিন সকালেই কঠুয়ার দয়ালাচক এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে সেনা-উর্দি পরা চার জঙ্গি সম্পর্কে খবর পায় সেনাবাহিনী। তার পরেই এলাকা জুড়ে সতকর্তা জারি হয়। জম্মুর সেনা মুখপাত্র শিবনারায়ণ আচার্য জানান, জঙ্গিদের খোঁজে বিভিন্ন গ্রামে সেনা ও পুলিশ বিশেষ তল্লাশি অভিযান শুরু করে। বন্ধ করে দেওয়া হয় পাঠানকোট-জম্মু জাতীয় সড়ক। ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় কঠুয়ার সব স্কুলে। সেনা মুখপাত্রের কথায়, “জঙ্গিদের হাতে স্কুল পড়ুয়াদের পণবন্দি হওয়া ঠেকাতেই এই ব্যবস্থা।” তবে বিকেল পর্যন্ত তল্লাশি অভিযান চালিয়েও কোনও জঙ্গির হদিস পায়নি নিরাপত্তা বাহিনী। সেনা সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার কুপওয়াড়া এলাকায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও সেনাবাহিনীর বিশেষ তল্লাশি অভিযানে ২টি একে-৫৬ রাইফেল-সহ বেশ কয়েকটি অস্ত্র এবং রেডিও সেট উদ্ধার করা হয়েছিল।
জঙ্গিদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশিতে নেমেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
শনিবার কঠুয়ার দয়ালাচক এলাকায়। ছবি: পিটিআই।
এমনিতেই কুপওয়াড়ার ওই সীমান্ত এলাকায় পাক সেনার ‘বর্ডার অ্যাকশন টিম’ যথেষ্ট সক্রিয়। তার উপরে ওই অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হওয়ার পর গোয়েন্দারা আঁচ করেন, ওই এলাকা দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে। ঘটনাচক্রে, তার দু’দিনের মাথায় হিরানগর থানা ও সাম্বা সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হামলা ও এ দিনের কনভয়ে গুলি চালানোর ঘটনা সেই আশঙ্কাকেই সিলমোহর দিল বলে সেনা অফিসারেরা মনে করছেন। তাঁরা বলছেন, থানা ও সেনা ছাউনিতে হামলাকারী জঙ্গিরা হিরানগর সীমান্ত দিয়ে ঢুকেছিল।
গোয়েন্দা সূত্রের বক্তব্য, জম্মু-কাশ্মীরের বেশির ভাগ সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশ আটকাতে বিশেষ কাঁটা তারের বেড়া লাগানো হয়েছে। তাতে অনুপ্রবেশ অনেকটাই আটকানো গিয়েছে বলে সেনার দাবি। সেনা সূত্রে বলা হচ্ছে, অনুপ্রবেশে বাধা পড়াতেই পাকিস্তান মাস দেড়েক ধরে সীমান্তে গোলাবর্ষণ শুরু করেছে। এই সুযোগে ওই কাঁটাতারের বেড়া টপকে এ দেশে ঢোকানোর ছক রয়েছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে তার প্রমাণও পেয়েছে সেনা। কুপওয়ারা ও হিরানগর সীমান্তের মতো এলাকা দিয়েও পাকিস্তান জঙ্গিদের ঢোকানোর চেষ্টা করছে বলে গোয়েন্দা সূত্রের দাবি।
সেনা বাহিনীর একটি সূত্রের খবর, লস্কর-ই-তইবা, হিজবুল মুজাহিদিন, জইশ-ই মহম্মদ এবং আল বদরএই চারটি জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের সীমান্ত পেরিয়ে ঢোকানোর চেষ্টা চলছে। সেনা গোয়েন্দাদের একটি অংশের মতে, সম্প্রতি অন্তত ৩০ জন জঙ্গি জম্মু-কাশ্মীরের নানা এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে। তাঁদের খোঁজ পেতে সেনা, পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দাসংস্থা যৌথ তল্লাশি চালাচ্ছে বলেও ওই অংশের দাবি।

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.