পুরসভার অচলাবস্থা কাটাতে দ্রুত নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন রাজ্যের প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার পুরসভায় বিক্ষোভ দেখায় দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্ট। হিলকার্ট রোড থেকে মিছিল করে গিয়ে পুরসভায় অবস্থান বিক্ষোভের পাশাপাশি তাঁরা পুর কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দেন। অশোকবাবু বলেন, “পুরসভা কোনও কাজ করতে পারছে না। শহরের রাস্তাঘাটের অবস্থা বেহাল। বিভিন্ন দুঃস্থ মানুষ ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতির জন্য কংগ্রেস ও তৃণমূল দায়ী।” তিনি আরও বলেন, “এই অবস্থা কাটাতে নতুন করে মানুষের রায় নেওয়া প্রয়োজন।”
বামেদের নির্বাচনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “যাঁরা বোর্ডের অচলাবস্থার কথা বলছেন, তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকা সত্ত্বেও কেন অনাস্থা আনছেন না। এখন বোর্ড ভেঙে দিয়ে প্রশাসক বসালে বামেরাই রাজ্য সরকার হস্তক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ তুলবেন। আর আমাদের অনাস্থা আনার মত সংখ্যা নেই।” গত বুধবারের পুরসভার বাজেট বৈঠক নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন গৌতমবাবু। তিনি বলেন, “সভার মান নষ্ট করা হয়েছে। বাজেট পাস হয়েছে বলে মনে করি না। বাজেটে বাম কংগ্রেস একসঙ্গে কাজ করেছেন।” বাজেটের সমস্ত বিষয় জানিয়ে তৃণমূলের কাউন্সিলররা পুর দফতরে চিঠি দেবেন বলে জানান গৌতমবাবু।
মন্ত্রীর অভিযোগ মানতে নারাজ বামেরা। পুরসভার বিরোধী দলনেতা নুরুল ইসলাম বলেন, “যাঁরা জোট করে ভোট করে নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন শহর পরিচালনা করার দায়িত্ব তাঁদের। আমরা কাউকে সুযোগ করে দিইনি। উন্নয়ন বিরোধী বাজেটের বিরোধিতা করে আমরা সভাকক্ষ ছেড়েছি।” অন্যদিকে ডেপুটি মেয়র তথা দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সবিতা অগ্রবাল বলেন, “নিয়ম মেনেই সব কাজ হয়েছে।” শহরের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোকবাবু। তাঁর অভিযোগ, “শহরের ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে পুরসভা ব্যথর্।” অভিযোগ মানতে নারাজ উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, “ডেঙ্গি মোকাবিলার জন্য আমরা সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছি।” আর মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “বামেদের সমস্ত অভিযোগ সঠিক নয়। আমরা কেন এতদিন সব কাজ করতে পারিনি তা সকলেই জানে।” |