মানকুণ্ডু স্টেশন থেকে কাটা শেওড়াফুলি পর্যন্ত একটি ট্রেনের টিকিট। নিহতের পকেটে মিলেছিল এটুকুই। সেটুকু সূত্রের ভরসায় তদন্তে নেমে খুনের অভিযোগে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের নীলগঞ্জে পরিত্যক্ত এলাকা থেকে মধ্যবয়সী এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে দত্তপুকুর থানার পুলিশ। প্যান্টের পকেটে মেলে ট্রেনের টিকিটটি। হুগলির ভদ্রেশ্বর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ। ওই থানা এলাকাতেই পড়ে মানকুণ্ডু স্টেশন। নিহত ব্যক্তির ছবি মোবাইলে তুলে ভদ্রেশ্বরে পাঠানো হয়। জানা যায়, নিহতের নাম তাপস নন্দী (৪৫)। ওই দিনই সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন। সন্ধ্যার পরে ভদ্রেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
নিহতের পরিচয় জানার পরে তাঁর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ। সোদপুরের সুখচর থেকে গ্রেফতার করা হয় তাপসবাবুর ভায়রাভাই শম্ভুনাথ পণ্ডিতকে। পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী জানান, “খুনের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরই এক আত্মীয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।” বৃহস্পতিবার শম্ভুনাথকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বারাসত আদালত।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি দুই ভায়রাভাই গাড়ির ব্যবসা শুরু করেছিলেন। সেই কাজেই বুধবার তাপসবাবুকে সোদপুরে ডেকে পাঠান শম্ভুনাথ। এক সঙ্গে বসে মদ্যপান করেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পরে মদের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে শম্ভুনাথই তাপসকে খুন করেন। গাড়িতে দেহ তুলে ফেলার জায়গা না পেয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘোরেন। পরে নীলগঞ্জের পরিত্যক্ত এলাকায় দেহ ফেলে পালান। |