অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক মহিলার। গায়ত্রী জানা (৩৫) নামে ওই মহিলা এক অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্টের স্ত্রী। বুধবার দুপুরে হাসনাবাদের শুলকুনির বেনোপোতা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশের অনুমান, কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন গায়ত্রী দেবী। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সংস্থার এক আধিকারিক সুজিত বৈদ্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। তাঁর দাদা, ওই সংস্থার আর এক আধিকারিক, রঞ্জিৎ বৈদ্য-সহ কয়েকজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। সংস্থার অফিসও সিল করে প্রয়োজনীয় নথি আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, আর বি গ্রুপ অফ কোম্পানি নামে ওই অর্থলগ্নি সংস্থায় অনেকে টাকা রেখেছিলেন। ওই সংস্থার এজেন্ট হিসাবে কাজ করতেন মৃতার স্বামী। গায়ত্রী দেবীর স্বামী দিলীপবাবু জানান, বাড়ির মুদির দোকানে কাজের জন্য সংস্থার কাজে তিনি বেশি সময় দিতে পারতেন না। তাঁর হয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন স্ত্রী। অভিযোগ, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার ছ’মাস পরেও গ্রাহকদের প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা ফেরত দেয়নি সংস্থা। তার জেরে গ্রাহকেরা গায়ত্রীকে হেনস্থা করছিলেন বলে অভিযোগ। এমনকী, সোমবার এক গ্রাহক তাঁকে কুপ্রস্তাব দেন। গায়ত্রী সংস্থার অফিসে বিষয়টি জানালে সেখানেও তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বলা হয় গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়া এখন সম্ভব নয়। ভবিষ্যতে সংস্থার অফিসে যেতেও বারণ করা হয়। দিলীপবাবুর দাবি, অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন তাঁর স্ত্রী।
দিলীপবাবু পুলিশকে জানান, বুধবার দুপুর দেড়টা নাগাদ বাড়ি ফিরে দেখেন, গায়ত্রী ঘরে ছটফট করছেন। স্ত্রীকে নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে টাকি হাসপাতালে রওনা হন তিনি। পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।
অর্থ লগ্নিসংস্থার তরফে পার্থসারথি জানা বলেন, “মেয়াদ পেরনোর পরেও গ্রাহকদের টাকা দিতে সমস্যা হচ্ছে ঠিকই। তবে কাউকে অপমান করা হয়নি। তা ছাড়া গায়ত্রীদেবী আমাদের সংস্থার কেউ নন। তাঁর স্বামী আমাদের এজেন্ট। সম্ভবত পারিবারিক কারণে আত্মহত্যা করেছেন গায়ত্রীদেবী।” |