টুকরো খবর
দুই নাবালকের মৃত্যু ঘিরে আতঙ্ক নয়াগ্রামে
এক জনের মৃত্যুর শোক কাটার আগেই বাজ পড়ে তিন-তিন জনের মৃত্যু। বুধবার সন্ধ্যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে চন্দ্রকোনার পিয়ারডাঙায়। দুরারোগ্য অসুখে পদ্ম পানের (৪৫) মৃত্যুটা বাড়ির লোকেরা এমনিতেই মেনে নিতে পারছিলেন না। তার উপর বুধবার সন্ধ্যায় পারলৌকিক কাজের সময়ে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে, পদ্ম দেবীর খুড়তুতো দেওর ধীরেন পান (৫৫) ও তাঁর বড় ছেলে বলরাম পানের (২৬)। পেশায় নাপিত স্থানীয় নীলগঞ্জের বাসিন্দা তরুণ রানারও (৪০) মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া পদ্মদেবীর দুই ছেলে শ্যামাপদ, বামাপদ, দুই বৌমা-সহ মোট ২২ জন জখম হয়েছেন। এর মধ্যে ধীরেনবাবুর ছেলে বন্দি পান হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও বাকিরা কেউ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ, কেউ বা ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল ও চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি। বৃহস্পতিবার সকালে পিয়ারডাঙা গ্রামে ঢুকতেই দেখা গেল মোড়ে-মোড়ে জটলা। পান পাড়ায় কান্নার রোল। পদ্মদেবীর স্বামী কেবলবাবু কথা বলার ক্ষমতা হারিয়েছেন। পাশেই বাড়ি ধীরেন পানের। তাঁর স্ত্রী ঝর্নাদেবী বাড়ির উঠোনে বসে অঝোরে কাঁদছিলেন। ঝর্নাদেবীর বৌমা তথা মৃত বলরাম পানের স্ত্রী পুতুল ঘনঘন জ্ঞান হারাচ্ছেন। এদিন সকালে তাঁকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে কোনও ভাবে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। এদিকে দুই ছেলেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হওয়ায় পদ্মদেবীর পারলৌকিক কাজ সম্পূর্ণ হয়নি এখনও। অনুষ্ঠানের জন্য বাড়ির সামনে অর্ধসমাপ্ত মণ্ডপ খাটানো রয়েছে। চেয়ার-টেবিল ছড়িয়ে। দিশেহারা কেবলবাবু বলেন, “ভগবান আমাকে কেন যে বাঁচিয়ে রাখল! আমি থেকেই আর লাভ কী?”

বাবাকে খুনে ধৃত ছেলে
বাড়ির কাছে পুকুর থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থানার হরিখালি জালপাই গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম পবন পাল (৫৫)। পেশায় দিনমজুর ওই ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর ছোট ছেলের বিরুদ্ধে। বুদ্ধদেব পাল নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুদ্ধদেববাবুর দুই ছেলের মধ্যে অনেক দিনের বিরোধ। বড় ছেলের সঙ্গে থাকতেন পবনবাবু। ছোট ছেলের সঙ্গে থাকতেন পবনবাবুর স্ত্রী। বুধবার সন্ধ্যায় পবনবাবু বাজারে গিয়েছিলেন। রাতে বাড়ি ফেরেননি। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির কাছে একটি পুকুরে তাঁর মৃতদেহ ভেসে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসাপাতালে পাঠায়। এদিকে পবনবাবুর বড় ছেলে থানায় অভিযোগ করেন, সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় বাবাকে খুন করে পুকুরে ফেলে দিয়েছেন তাঁর ভাই। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বুদ্ধদেবকে গ্রেফতার করা হয়।

নরঘাটে দুর্ঘটনায় মৃত্যু, আহত চার
বাসের সঙ্গে পিক আপ ভ্যানের মুখোমুখি ধাক্কায় মৃত্যু হল এক জনের। আহত হয়েছে চার জন। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানার নরঘাটের কাছে দিঘা-মেচেদা সড়কে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সঞ্জয় দাস (২৮)। তাঁর বাড়ি নন্দকুমার থানার চকশীতলপুর গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে একটি বাস মেচেদার দিক থেকে দিঘার দিকে যাচ্ছিল। বিকেল ৫টা নাগাদ নন্দকুমার থানার নরঘাটের কাছে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিক আপ ভ্যানের সঙ্গে ওই বাসের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। এতে পিক আপ ভ্যানের চালক-সহ আরও চার আরোহী আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করে। পরে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় সঞ্জয়ের। পুলিশ জানিয়েছে, বাসটিকে আটক করা হয়েছে। চালক পলাতক।

রেলকর্মীর অপমৃত্যু
অবসরপ্রাপ্ত এক রেলকর্মীর অপমৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাঙামাটিতে। মৃতের নাম হরিদাস মুখোপাধ্যায় (৬১)। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতে বাড়িতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়।

কোস্টগার্ড কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
বুধবার সন্ধ্যায় হলদিয়া কোস্ট গার্ডের মেডিক্যাল ইউনিটের এক কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে ল্যাবরেটরি রুমে। মৃত মোক্তার আলি শেখের (৪১) বাড়ি বর্ধমানের ভাতারে। তিনি পরিবার নিয়ে হলদিয়া টাউনশিপেই থাকতেন। সম্প্রতি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকেরা।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.