এ বার ঝাড়গ্রামে ঘাস ফুল ফোটানোর ডাক মমতার
‘আসন্ন পুরভোটে ঝাড়গ্রামকে বর্ধমান বানাতে হবে।’ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের মাধ্যমে দলের জেলা নেতৃত্বকে এই বার্তাই দিয়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জঙ্গলমহলে তাঁর প্রশাসনিক সফরের শেষ-পর্বে শিলদার সভা সেরে বুধবার ঝাড়গ্রাম রাজবাড়িতে রাত্রিযাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। দলের জেলা, মহকুমা ও শহরের প্রায় সমস্ত নেতারাই রাজবাড়িতে হাজির ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য রাজবাড়িতে কোনও রাজনৈতিক বৈঠক করেননি। দলের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে দেখাও করেননি। তবে রাতে রাজবাড়ি প্রাঙ্গণে দলের জেলা ও স্থানীয় নেতাদের নিয়ে ঘরোয়া বৈঠক করেন মুকুলবাবু। দলীয় সূত্রের খবর, দলনেত্রীর নির্দেশাবলি সম্পর্কে জেলা ও স্থানীয় নেতৃত্বকে অবহিত করেছেন মুকুলবাবু।
আগামী ২২ নভেম্বর ঝাড়গ্রাম ও মেদিনীপুর পুরসভার নির্বাচন। মেদিনীপুর পুরসভার ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। কিন্তু দীর্ঘ ৩১বছর ধরে ঝাড়গ্রাম পুরসভা বামেদের দখলে। ঝাড়গ্রাম পুরসভার ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩টি বামেদের দখলে। বাকি তিনটি ওয়ার্ড তৃণমূলের ও একটি ওয়ার্ড কংগ্রেসের দখলে রয়েছে। এলাকার সীমানা পুনর্বিন্যাসের ফলে এ বার ওয়ার্ড সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮টি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিরঙ্কুশ ভাবে ঝাড়গ্রাম পুরসভা দখল করা যাবে বলে আশাবাদী তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মুকুল রায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়। — নিজস্ব চিত্র।
কিন্তু ঝাড়গ্রাম শহরে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে যথেষ্ট আকচা-আকচি রয়েছে। গোষ্ঠী-কাজিয়া নিয়ে কিছুটা বিব্রতও রয়েছেন দলের জেলা নেতৃত্ব। মুকুলবাবু অবশ্য নেত্রীর নির্দেশক্রমে দলের জেলা ও শহর নেতৃত্বকে জানিয়ে দেন, পুরভোটের জন্য একটি নির্বাচন কমিটি গঠন করতে হবে। দলীয় সূত্রের খবর, এলাকার বিধায়ককে মাথায় রেখে ওই কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। ঝাড়গ্রামের বিধায়ক সুকুমার হাঁসদার গোষ্ঠীর সঙ্গে মুকুলপন্থী গোষ্ঠীকে সমন্বয় রেখে সুষ্ঠু ভাবে ভোট পরিচালনা করার পক্ষপাতী দলের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ।
পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এক সময়ের ‘লালদুর্গ’ ঝাড়গ্রাম শহরে এখন বেহাল দশা বামেদের। ফলে, নিজেদের কোন্দল ভুলে একজোটে পুরবোর্ড দখলের জন্য দলের নেতা-কর্মীদের মাঠে নামার নির্দেশ দিয়েছেন মুকুলবাবু। দলের দুই জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ ও নির্মল ঘোষদের বক্তব্য, “গত তিরিশ বছরে ঝাড়গ্রাম শহরে কোনও উন্নয়ন হয়নি। বেহাল পথঘাট। তিন দশকেও সুষ্ঠু নিকাশি ও পর্যাপ্ত পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে পারেনি বামেদের পুরবোর্ড। কেবলমাত্র ঠিকাদারি-রাজ চলছে পুরসভায়। পুর-পরিষেবা নিয়ে শহরবাসীর তীব্র ক্ষোভ রয়েছে। এ বার ঝাড়গ্রাম পুরসভা আমরাই দখল করব।”
১৮টি ওয়ার্ডেই যাতে ঘাসফুল ফোটানো যায় সে ব্যাপারে দলের জেলা নেতৃত্বকে উপযুক্ত রাজনৈতিক পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দলের এক জেলা নেতা বলেন, “ঝাড়গ্রাম শহর নেতৃত্বকে পুরবাসীর ক্ষোভকে হাতিয়ার করে আসন্ন পুরভোটে বর্ধমানকে দেখে শেখার কথা বলা হয়েছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.