|
|
|
|
‘নতুন সহবাগও আগের মতো আগ্রাসী’
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
নতুন এক বীরেন্দ্র সহবাগ আবির্ভূত হলেন ক্রিকেট মঞ্চে। ইনি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান সহবাগ। তবে ব্যাট হাতে সেই একই রকম— আগ্রাসী, ঝোড়ো।
নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবন শুরু করেছিলেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসাবে। এ বার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের লক্ষে সেই ফর্মুলায় ফিরে গেলেন সহবাগ। এবং সেই ফর্মুলা কিছুটা হলেও ফিরিয়ে দিল চেনা সহবাগকে। ইন্দৌরে চ্যালেঞ্জার ট্রফিতে দিল্লির হয়ে তাঁর ৩৮ বলে ৫৯ রানের ইনিংস যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা অন্তত সে কথাই বলছেন। |
|
ইন্দৌরে মারমুখী। |
যেমন দেবাঙ্গ গাঁধী। ইন্দৌরের হোলকার স্টেডিয়ামের টিভি কমেন্ট্রি বক্সে বসে ভারতীয় দলে তাঁর এক সময়কার সতীর্থর ব্যাটিং দেখতে দেখতে দেবাঙ্গ বলছিলেন, “ন’মাস পর মাঠে নেমেছে, বোঝাই যাচ্ছিল না। আমি তো ওকে এই প্রথম মিডল অর্ডারে খেলতে দেখলাম। অ্যাপ্রোচটা আগের মতোই আছে। সেই আক্রমণাত্মক মেজাজ, আগ্রাসী মনোভাব। সেই মারার বল কোনও মতেই না ছাড়ার প্রবণতা। তবে আগের চেয়ে ব্যাটিংটা এখন আরও গোছানো।”
এই সহবাগকে দেখে দেবাঙ্গ-র মনে হচ্ছে, তিনি ভারতীয় দলের হয়ে খেলার জন্য তৈরি। ভারত এবং বাংলার প্রাক্তন ওপেনার বৃহস্পতিবার ফোনে বলছিলেন, “এত দিন পর খেলল। তার ওপর নতুন ভূমিকায়। মিডল অর্ডারে তো ও নিজেই নামতে চেয়েছে, শুনলাম। বিনয় কুমার, ভুবনেশ্বর কুমারদের মতো ভারতীয় দলের হয়ে নিয়মিত খেলা বোলারদের তুমুল পেটাল। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরও কঠিন বোলিংয়ের মুখোমুখি হতে হবে ওকে। কিন্তু বিনয়রাও তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলে। আমার মনে হয়, ওকে ফের টেস্ট দলে দেখা যাবে।” খেলা শেষে
|
চার নম্বরে লড়াইয়ের
সাক্ষী দেবাঙ্গ। |
বীরুর সঙ্গে কথা বলে এই ধারণাটা আরও বদ্ধমূল হয় দেবাঙ্গের মনে। বললেন, “ওর সঙ্গে কথা বলেই বুঝলাম কতটা মরিয়া। আমাকে বলল, ‘এখন সব ম্যাচে রান পেতে হবে। সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ-র বিরুদ্ধে চার দিনের দুটো ম্যাচ। ওই ম্যাচগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে।’ বীরুকে বেশ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ মনে হল।” নির্বাচকদের প্রধান সন্দীপ পাটিল এ দিন হোলকার স্টেডিয়ামের ভিআইপি গ্যালারিতে হাজির ছিলেন আর এক নির্বাচক রাজিন্দর সিংহ হনস্-কে নিয়ে। দুই জাতীয় নির্বাচকের সামনে ফেরার লড়াই শুরু হল সহবাগকে।
প্রত্যাবর্তনের সুযোগ পেয়ে যুবরাজ সিংহ নিজেকে প্রমাণ করে দিয়েছেন। এ বার সহবাগও সেই রাস্তাতেই হাঁটলেন। যদিও এ দিন ইন্ডিয়া ব্লু-র হয়ে সহবাগের বিরুদ্ধে নামতে পারলেন না যুবরাজ। সকালে ওয়ার্ম-আপ করতে নেমে ফের পিঠের ব্যথা শুরু হয়ে যায় তাঁর। বিকেলে ইন্দৌরে ফোন করে খবর পাওয়া গেল, খেলা শেষ হওয়ার পর হালকা ‘নকিং’ করেছেন যুবি।
রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন দিল্লি ২৭০ তাড়া করতে নেমে এ দিন শুরুতেই ৭-২ হয়ে যায় ভুবনেশ্বর কুমার ওপেনার মোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিকে ফিরিয়ে দেওয়ায়। তখন সবার নজর সহবাগের উপর। ভুবনেশ্বরকে প্রথম বলেই কভার ড্রাইভে বাউন্ডারিতে পাঠান। পরের দু’বলে আরও একটা চার। তিন বলে আট নিয়ে সেই শুরু বীরুর। পরের ওভারে বিনয় কুমারকে একটা করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি।
৩৩ বলে হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছন। আরও দুটো বাউন্ডারি মেরে ৫৯-এ। অবশেষে বাংলার স্পিনার ইরেশ সাক্সেনার বলে আত্মসমর্পণ। এ বার আর কব্জিতে ঠিকমতো মোচড় দিতে পারলেন না। বোলারের হাতেই ক্যাচ তুলে দেন। কিন্তু দিল্লিকে লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারেনি। ২৫২ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস।
|
ছবি: পিটিআই। |
|
|
|
|
|