|
|
|
|
ধোনি ধামাকায় কেঁপে উঠল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
নিজস্ব প্রতিবেদন |
এত দিন শুধু ঘরের ছেলের ব্যাটে ঝড় ওঠার ছবি দেখেছেন টিভিতে, তার খবর পড়েছেন কাগজে। এ বার ভারত অধিনায়কের শহরের ক্রিকেটপ্রেমীরা ‘ধোনি ধমাকা’ দেখলেন স্বচক্ষে, যা কখনও দেখেনি রাঁচি। ১৬ বলে ৫০। ১৯ বলে ৬৩। ক্রিকেটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও এমন ঘটনা বেনজির।
তিন ওভার খেলা বাকি থাকতে চেন্নাই সুপার কিংসের স্কোরবোর্ডে ছিল ১৪১। শেষ তিন ওভারে স্টেইন, পেরেরা, স্যামিদের তুমুল পিটিয়ে ৬০ রান তুলে নিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের অধিানায়ক। ২০০৭-এ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্টুয়ার্ট ব্রডের এক ওভারে ছ’টি ছয় মেরেছিলেন যুবরাজ সিংহ। বৃহস্পতিবার সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টাতেই ছিলেন ধোনি। থিসারা পেরেরার ওভারে পাঁচবার গ্যালারিতে বল আছড়ে পড়ার উল্লাস যেন জেএসসিএ স্টেডিয়ামের চৌহদ্দি ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ল আরও দূরে। শেষ চার বলে চারটে ছয়। ওভারে দুটো ওয়াইডও করেন থিসারা।
১৯ বলের ইনিংসে আটবার গ্যালারিতে বল পাঠান ভারত অধিনায়ক। মাত্র একটা বাউন্ডারি। শাশুড়ির সঙ্গে বাড়িতে বসে টিভিতে ম্যাচ দেখছিলেন সাক্ষী। ধোনি ব্যাট হাতে নামার আগে টুইট করে সে কথা জানান।
ছ’বছর আগে সেই ম্যাচে যুবরাজ ১২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন। টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটাই দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি। এ দিন ধোনি ১৬ বলে ৫০ তুলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি টোয়েন্টিতে নতুন মাইলফলক গড়লেন। এর আগে ২০০৯-এর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কায়রন পোলার্ড ১৮ বলে ৫০ রানের ইনিংস গড়েছিলেন। এত দিন সেটাই ছিল টুর্নামেন্টের দ্রুততম ৫০। এ দিন সেই রেকর্ডও ম্লান হয়ে গেল ধোনির ব্যাটে।
এক ওভারে ৩৪ রান তোলার নজিরও টুর্নামেন্টে এই প্রথম। সুরেশ রায়নাও এ দিন সিএসকে-র স্কোরবোর্ডকে গতিময় রেখেছিলেন। ৫৭ বলে ৮৪ করেন ন’টি চার ও একটি ওভার বাউন্ডারি মেরে। তাঁর সঙ্গী বদ্রিনাথ আউট হওয়ার পরই ব্যাট করতে নেমে ধুন্ধুমার কাণ্ড শুরু করে দেন ধোনি। স্টেইন (২-২৩), ইশান্তদেরও রেয়াত করেননি এই দুই ব্যাটসম্যান। ইশান্তের চার ওভারে ওঠে ৪০ আর পেরেরা দেন ৬০।
২০১ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নামা সানরাইজার্স হায়দরাবাদ শুরুটা ভালই করেছিল। দুই ওপেনার পার্থিব পটেল (৩৮) ও শিখর ধবন (৪৮) ৮৮-র পার্টনারশিপও গড়ে ফেলেন। কিন্তু তখনই রায়নার থ্রোয়ে রান আউট হয়ে ফিরে যান পার্থিব। শেষ পর্যন্ত সানরাইজার্স তোলে ১৯০-৭। স্যামি ২৫ বলে ৫০ করেন।
|
ধুন্ধুমার |
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টির দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি |
১৫ বলে ৫০ (আগের রেকর্ড ছিল কায়রন পোলার্ডের-১৮ বলে ৫০) |
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে সর্বোচ্চ রান |
৩৪ (আগের সর্বোচ্চ এক ওভারে ৩০। ২০১১-য় সুপ্পিয়ার ওভারে কালিস-ইউসুফ পাঠান
জুটি এবং ২০১২-য় লক্ষ্মীপতি বালাজির ওভারে রস টেলর-উন্মুক্ত চন্দ জুটি তোলে এই রান।) |
|
|
|
|
|
|