|
|
|
|
সেতু নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন কলকাতায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
‘সিটি অফ জয়’-এর আর এক পরিচয় নাকি ‘সিটি অফ আইকনিক ব্রিজেস’!
যদিও সেই পরিচয় আপাতত প্রশ্নের মুখে। কারণ আচমকা ভেঙে পড়ার ছ’মাস পরেও ঠিক হয়নি উল্টোডাঙা উড়ালপুল। হাওড়া ব্রিজ (রবীন্দ্র সেতু)-র আয়ু কমছে গুটখার নির্যাসের অত্যাচারে। একাধিক সেতুতে মিলছে ফাটল। ইঁদুরের দাপটে বহু সেতুরই ভবিষ্যত অনিশ্চিত।
তবুও বিশ্বের অন্যতম ভারসাম্যের সেতু হাওড়া ব্রিজ (রবীন্দ্র সেতু) রয়েছে এই শহরেই। রয়েছে বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ দ্বিতীয় হুগলি সেতু (বিদ্যাসাগর সেতু)। এই শহরেই আছে অত্যাধুনিক নিবেদিতা সেতু (দ্বিতীয় বিবেকানন্দ সেতু)। ২৯ মিটার চওড় সেতুটি দাঁড়িয়ে একটি মাত্র লাইনের উপরে। এটাই ভারতের একমাত্র সেতু, যার গঠন মার্কিন মুলুকে ‘বেস্ট ইনোভেটিভ ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে। এ সবের টানেই সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে চার দিনের এক সম্মেলনে মিলিত হয়েছেন আন্তর্জাতিক নির্মাণ ও সেতু-বিশেষজ্ঞেরা। |
|
ঐতিহ্যপূর্ণ স্থাপত্যের টান আজও বহু বিদেশিকে কলকাতামুখী করে। ব্রিটিশ শাসনকালের বহু নিদর্শন ঘিরেও এই শহর নিয়ে বিদেশিদের কৌতূহলের শেষ নেই। এ কথা জানিয়ে সেতু ও নির্মাণ বিশেষজ্ঞদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর ব্রিজ অ্যান্ড স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং’-এর সহ-সভাপতি বিধানচন্দ্র রায় বললেন, ‘‘বহু বিদেশির কাছে এখনও কলকাতার তীব্র আকর্ষণ রয়েছে। ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী পরিচয়ে কলকাতা সমাদৃত।”
সেতু-বিশেষজ্ঞদের সম্মেলনের উদ্বোনে ছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, পূর্তমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষদস্তিদার, কেন্দ্রীয় পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী সরভে সত্যনারায়ণ প্রমুখ। আজ, শুক্রবার সম্মেলনের শেষ দিনে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ২০০ জন নির্মাণ ও সেতু-বিশেষজ্ঞ যোগ দিয়েছেন সম্মেলনে। |
|
|
|
|
|