অধস্তন কর্মীরা বিডিও-র বিরুদ্ধে খারাপ ব্যবহার ও অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন। এমন কী ব্লকের বিডিও মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠিয়ে এবং মৌখিকভাবে কর্মীদের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মালদহের পরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের ঘটনা। বিডিও-র বিরুদ্ধে ওইসব অভিযোগ তুলে মহকুমা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন দফতরের ৪১ জন কর্মী। যদিও দফতরে হাজিরা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ায় বিডিও-র বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ তোলা হয়েছে বলে প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে।
মহকুমাশাসক সঞ্জীব দে বলেছেন, “সরকারি নিয়ম পালন করতে গিয়ে কেউ যদি কারও অপ্রিয় হন তাহলে কিছু করার নেই। ওই অফিস থেকে কর্মীদের একাংশ দুপুর ৩টা বাজতেই বাড়ি চলে যেতেন বলে শুনেছি। বিডিও সেটা বন্ধ করে দিয়েছেন।” যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিডিও কৌশিক পাল। তিনি বলেন, “আমি কাউকে খারাপ কিছু বলিনি। যা করা হচ্ছে সবই সুষ্টুভাবে দফতর চালানোর জন্য করা হয়েছে। ব্লকে অনেক কাজ। সবাইকে চাপে থাকতে হয়। তবে ঠিকঠাক বিডিও অফিস চালাতে গেলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে ওই ব্লকে কাজে যোগ দেন বিডিও কৌশিকবাবু। ব্লকে বেশ কিছু কর্মী মালদহ থেকে যাতাযাত করেন। তাঁরা দুপুর ৩টা বাজতেই ট্রেন ধরতে হবে বলে অফিস থেকে চলে যেতেন বলে অভিযোগ। তা বিডিও তা বন্ধ করতেই গোলমালের সূত্রপাত বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, ব্লকের একাংশ বাস্তুকার বাইরের কাজে গিয়ে দুই দিন পরে হাজিরা খাতায় সই করতেন বলে অভিযোগ। বিডিও নির্দেশ দেন, দফতরে এসে কোথায় কী কাজে যাচ্ছেন তা জানিয়ে যেতে হবে। কর্মীদের অভিযোগ, সরকারি নথিপত্রে সই করতে বিডিও দেরি করায় বাসিন্দাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। নানা কারণে কর্মীদের দোষারোপ করা ছাড়াও ঘরে ডেকে বিডিও খারাপ ব্যবহার করতেন। |