স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনে বাম মনোভাবাপন্ন শিক্ষক ও অভিভাবকদের প্রার্থী হতে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে অভিযোগে গণছুটি নিয়ে আন্দোলনে নামলেন কোচবিহারের বামপন্থী শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা। বুধবার কোচবিহার জেলার আটটি বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন সদস্যরা জেলাশাসকের দফতরের সামনে দিনভর অবস্থান করে বিক্ষোভ দেখান। এতে জেলার ২৫টি হাইস্কুলে স্বাভাবিক পঠনপাঠন এ দিন ব্যাহত হয়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, শাসকদল মদতপুষ্টরা কোচবিহারের বিভিন্ন স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনে শিক্ষক প্রতিনিধি বা অভিভাবক প্রতিনিধি হিসাবে বাম মনোভাবাপন্নদের দাঁড়াতে বাঁধা দিচ্ছেন। গত ছয় মাসে অন্তত ২০টি হাইস্কুলের কোথাও শিক্ষক প্রতিনিধি কোথাও অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে বামেরা প্রার্থী হতে পারেননি। এমনকী, হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক সুজিত দাস বলেন, “শিক্ষাক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। শাসকদলের মদতপুষ্টরা কোচবিহারের বিভিন্ন স্কুলে বাম মনোভাবাপন্ন শিক্ষক ও অভিভাবকদের প্রার্থী হতে বাঁধা দেওয়া দৈনন্দিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওই প্রবণতা বন্ধে প্রশাসনের সক্রিয়তা চাইছি। দুই হাজারের বেশি শিক্ষক এদিন ছুটি নিয়ে ওই আন্দোলনে সামিল হন। আন্দোলনকারী শিক্ষক সংগঠনগুলির মধ্যে এবিপিটিএ, বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি, মাধ্যমিক শিক্ষক সঙ্ঘ, সারা বাংলা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সদস্যরাও ছিলেন। শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্যের অভিযোগ ছাড়াও ওই কর্মসূচি থেকে তাঁরা প্রশিক্ষণহীনদের সরকারি উদ্যোগে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির বয়সসীমা ৫ বছরে নামিয়ে আনা, মিডডের পরিকাঠামো তৈরির দাবিও জানানো হয়েছে।
এদিকে গণছুটি নিয়ে বামপন্থী শিক্ষক সংগঠনগুলির আন্দোলনের জেরে কোচবিহারের অন্তত ২৫টি হাইস্কুলে ক্লাস ব্যাহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির জেলার আহ্বায়ক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “ভিত্তিহীন সব অভিযোগ তুলে ওই কর্মসূচি নেওয়া হয়। ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থক্ষুন্ন করে জেলার ২৫টি স্কুলে স্বাভাবিক ক্লাস নষ্ট হয়েছে। এটা কাম্য নয়।” এবিটিএর জেলা সম্পাদক সুজিতবাবু বলেন, “অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে আমরা ক্ষতি পুষিয়ে দেব।” |