স্কুল ভোটের প্রচারে গেলে বামপন্থী মনোভাবাপন্ন সংগঠনের কয়েকজনকে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের এক নেত্রী তথা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান এবং তাঁর লোকজনদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির হাতিয়াডাঙায় ঘটনাটি ঘটেছে। শিলিগুড়ির ঘোঘোমালি হাই স্কুলের পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন রয়েছে আগামী রবিবার। বাম মনোভাবাপন্নরা প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। অভিযোগ, প্রচার সেরে একটি চায়ের দোকানে গেলে সেখানে তৃণমূলের ওই নেত্রী গ্রাম পঞ্চয়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান শিখা চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের লোকজনেরা তাঁদের ঘিরে ধরে। কেন তাঁরা স্কুল ভোটের প্রচারে এলাকায় এসেছেন সেই প্রশ্ন তুলে শাসাতে থাকে। মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। শিখা দেবী এর পর বেঁধে রাখার নির্দেশ দিতেই লোকজন প্রধানে বাইকে সামগ্রী বাঁধবার যে দড়ি থাকে তা দিয়ে হাত পা বেঁধে দেন। পরে দড়ি এনে দুই জনকে দোকানের প্লাস্টিকের চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। জলেশ্বরী এলাকায় নিয়ে গিয়ে হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ দিন সকালে ভক্তিনগর থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ জানান ওই দুই ব্যক্তি। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন এলাকায় মিছিল করে স্কুলের স্টাফ কাউন্সিলের সদস্যরা। শিখা দেবী বলেন, “বেঁধে রাখার অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওই স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক এবং বাম-নেতা কর্মীরা ছাত্রছাত্রীর বাড়ি ঢুকে ভোটের প্রচার করছিলেন। তাঁদের ভোট না দিলে ছাত্রছাত্রীদের পাশ করানো হবে বলে ভয় দেখাচ্ছিলেন। তা নিয়েই আপত্তি জানানো হয়েছে।” অভিযোগকারীরা জানান, ওই দলে ছিলেন স্কুলের হেড ক্লার্ক রূপক চন্দ, স্কুলের শিক্ষক পার্থ মান্না, সিপিএমের আশিঘর লোকাল কমিটির সম্পাদক তথা স্কুল পরিচালন কমিটির প্রাক্তন সভাপতি ধীরেশ রায়, স্কুল পরিচালন সমিতির স্থায়ী সদস্য রামকৃষ্ণ বৈরাগী। তৃণমূলের লোকজন রূপকবাবু এবং রামকৃষ্ণবাবুকে বেঁধে রাখেন বলে অভিযোগ। রামকৃষ্ণবাবুর বয়স ৬০ বছর। তিনি ওই ঘটনায় অসুস্থ বোধ করেন। রূপক বলেন, “গালিগালাজ করছিলেন তৃণমূলের লোকেরা। পরে আরও লোকজন জমায়েত হয়। প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে আমাদের বেঁধে রাখা হয়। গায়ে হাতও দেয় কয়েকজন। পরে বাঁধান খুলে হাঁটিয়ে জ্বলেশ্বরী এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয় তারা।” |