স্বামীকে অস্ত্র দেখিয়ে তাঁর সামনেই বধূকে ধর্ষণ করার আপরাধে দুই যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড হল। পুরুলিয়া ফাস্ট ট্র্যাক ২ আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সুতপা সাহা সোমবার এই রায় দেন। সাজাপ্রাপ্তেরা হল নীলকমল মাহাতো ও পরীক্ষিত মাহাতো। বান্দোয়ান থানার লিকি গ্রামে তাদের বাড়ি।
সরকারি আইনজীবী সুভাষ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ২০১০ সালের ১ সেপ্টেম্বর নীলকমল ও পরীক্ষিত এলাকার একটি বাড়িতে ঢুকে স্বামীকে ধারাল অস্ত্র দেখিয়ে তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি পুলিশকে না জানানোরও হুমকি দেওয়া হয়। পরে ৮ সেপ্টেম্বর ওই বধূ বান্দোয়ান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। পরে তারা জামিনে মুক্তি পায়। বিচারক সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের ১০ বছর কারাদণ্ড ও প্রত্যেকের ৫০০০ টাকা করে জরিমানা করেন। অনাদায়ে এক বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন। সেই সঙ্গে হুমকি দেওয়ার দায়ে দু’বছর কারাদণ্ড ও ২০০০ টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে ছ’মাস কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়।
অন্য দিকে, বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক তরুণীর সঙ্গে সহবাস করার দায়ে পুরুলিয়া মফস্সল থানার কড়াডি গ্রামের বাসিন্দা উত্তম মাহাতোর সাত বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা হল। মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণা করেন পুরুলিয়া ফাস্ট ট্র্যাক ১ আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক প্রসাদকুমার রায়। সরকারি আইনজীবী সুভাষবাবু জানান, ১৯৯৩ সালের জুন মাসে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই যুবক তরুণীর সঙ্গে সহবাস করে। পরে ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হলে যুবকটি বিয়ে করতে রাজি হয়নি। তরুণীর অভিযোগে পুলিশ উত্তমকে গ্রেফতার করে। |