ডাকাতির অপরাধে পাঁচ বছর পর সাজা সাত দুষ্কৃতীর
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
ডাকাতির ঘটনায় সাত জনকে দোষী সাব্যস্ত করার পর তাঁদের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিলেন বিচারক। সোমবার বসিরহাটের ফাস্ট ট্র্যাক থ্রি আদালতের বিচারক মণীশ রঞ্জন সান্যাল এই মামলার রায় শোনান। মামলার সরকারি পক্ষের আইনজীবী জগন্নাথ নাথ বলেন, “সাত দুষ্কৃতীকে ৩৯৫ এবং ৪১২ ধারায় দোষী ঘোষণার পর ৭ এবং ১০ বছর কারাদণ্ড এবং ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাস জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।” পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির পশ্চিম আতাপুর গ্রামে ইন্দ্রজিৎ দাসের বাড়িতে ২০০৮ সালের ১২ অক্টোবর হামলা চালায় স্থানীয় দুষ্কৃতীরা। পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে ইন্দ্রজিৎবাবু জানান, দুষ্কৃতীরা তাঁকে এবং তাঁর বাড়ির লোকজনদের মারধর করে একটা লাইসেন্স বন্দুক, ক্যামেরা, মোবাইল ও কয়েক ভরি সোনার অলঙ্কার নিয়ে পালায়। ঘটনার তদন্তকারী অফিসার গৌতম মিত্র জানান, ঘটনার পর পরই ধরা পড়ে সাত দুষ্কৃতী। উদ্ধার হয় জিনিসপত্র। কিছু দিন জেল খাটার পর অভিযুক্তেরা জামিন পেয়ে গিয়েছিল। পাঁচ বছর ধরে বিচার চলার পর সোমবার অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শোনান বিচারক। |
অবৈধ কাজের অভিযোগে আটক
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
মহিলাদের অবৈধ কাজে লিপ্ত করার অভিযোগে এক মহিলাকে আটক করল পুলিশ। বুধবার বসিরহাটের মুন্সিবাগান থেকে ওই মহিলাকে আটক এবং আরও তিন মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। আটক মহিলার স্বামী স্বপন রক্ষিত-সহ আরও কয়েকজনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, মুন্সিবাগানের ওই বাড়ির মালিকের সঙ্গে বহিরাগত মহিলাদের ঘুরতে দেখা যেত। সম্প্রতি কয়েকজন মহিলাকে ওই বাড়িতে থাকতেও দেখা যায়। এক পুলিশকর্তা জানান, বাড়ির মালিক টিভি সিরিয়াল ও সিনেমায় সুযোগ দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন জায়গা এমনকী বাংলাদেশ থেকে মহিলাদের নিয়ে আসত। তারপর মোটা টাকার লোভ বা ভয় দেখিয়ে অবৈধ কাজে বাধ্য করত। সম্প্রতি এক মহিলার অভিযোগ পেয়ে কলকাতা পুলিশের একটি দল স্থানীয় থানার সাহায্য নিয়ে ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। |
ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করার পর তাঁর যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করলেন বিচারক। মঙ্গলবার বসিরহাটের ফাস্ট ট্র্যাক ওয়ান আদালতে বিচারক মহানন্দ দাস এই রায় শোনান। পুলিশ ও আদালত সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটে ২০০৭ সালের ১৮ জানুয়ারি রাত ৮টা নাগাদ। ওই রাতে হাসনাবাদ থানার মহিষপুকুর গ্রামের ওই বধূ তাঁর শিশুকে নিয়ে বাড়িতে একা ছিলেন। বাড়ির বাকিরা সরস্বতী প্রতিমা বিক্রি করতে বেরিয়েছিলেন। সে সময়ে পিছন থেকে মহিলার মুখ চেপে ধরে তাঁর উপর অত্যাচার চালায় ওই গ্রামের বাসিন্দা ভুবন মণ্ডল। ঘটনাটি গ্রামে জানাজানি হতে হাসনাবাদ থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। পাঁচ-ছয় মাস পরে ধরা পড়ে কিছুদিন জেল খাটে ভুবন। এরপর জামিনে মুক্ত ছিল সে। মঙ্গলবার তাকে যাবজ্জীবনের রায় শোনান বিচারক। |