ব্যারাক স্কোয়ারে অনুষ্ঠান নয়, সরব কংগ্রেস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
ঐতিহ্যের ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানের সুবজ বাঁচাতে মাঠে নামল বহরমপুর টাউন কংগ্রেস।
শনিবার থেকে শুরু হয়েছে তাঁত বস্ত্রমেলা। চলবে ১ অক্টোবর পর্যন্ত। ওই মাঠে কোনও মেলা বা সমাবেশ নিষিদ্ধ করার দাবিতে বহরমপুর টাউন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বুধবার ব্যারাক স্কোয়ারের সামনে বিক্ষাভ সমাবেশ করা হয়। মাঠের সবুজ বাঁচানোর দাবিতে বহরমপুর মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। এ ব্যাপারে জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে বহরমপুরের পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্যের। জেলাশাসক রত্নাকর রাও বলেন, “ওই মাঠের কি ভাবে আরও উন্নতি করা যায়, কি ভাবে সবুজ রক্ষা করা যায় সেই ব্যাপারে পুরসভা ও প্রশাসন খুব তাড়াতাড়ি আলোচনায় বসবে। সেই আলোচনায় গৃহীত প্রস্তাব অনুসারে সম্মিলিত ভাবে ওই মাঠ রক্ষা করা হবে।” |
সবুজ বাঁচাতে পথে নামল কংগ্রেস। ছবি: গৌতম প্রামাণিক। |
নবাব মির জাফরের দেওয়া ৫৯৪ বিঘা জমি জুড়ে ১৭৬৫ সাল থেকে ১৭৬৭ সালের মধ্যে ইংরেজরা বহরমপুরে সেনানিবাস গড়ে তোলে। ওই সেনানিবাস এলাকার মধ্যেই রয়েছে ব্যারাক স্কোয়ার ময়দান। ময়দানের দৈর্ঘ ৪৪০ গজ, প্রস্থও ৪৪০ গজ। বর্গাকার মাঠের চারপাশে গড়ে তোলা হয় প্রশাসনিক কার্যালয়, প্রশাসকদের বাসভবন ও সেনা ব্যারাক। মাঠের চারপাশ জুড়ে রয়েছে প্রায় আড়াইশো বছরের প্রাচীন রেন-ট্রি। ওই মাঠেই ১৮৫৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সিপাহি বিদ্রোহের প্রথম সূচনা হয়।
মুর্শিদাবাদের তৎকালীন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ওই মাঠ দিয়ে পালকি চড়ে যাওয়া নিয়ে ইংরেজ সেনাপতি ডাফরিণের বিবাদ বাধে। সেই বিবাদ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। ইতিহাস সমৃদ্ধ ওই মাঠ রাজ্য সরকারের ‘হেরিটেজ’ তালিকার অন্তর্ভূক্ত। সেই মাঠ সংরক্ষণের জন্য পুরসভার পক্ষ থেকে চারপাশে লোহার রেলিং দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অশোক দাস বলেন, “এমন একটি ঐতিহাসিক মাঠে অনুষ্ঠান করে মাঠটির সর্বনাশ করা হচ্ছে। সবুজ ধ্বংস করা হচ্ছে।” |