সিঙ্গুরে জমি ফেরত নিয়ে ফের প্রতিশ্রুতি পার্থর
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিঙ্গুর |
কেন্দ্রীয় জমি অধিগ্রহণ আইনের উপরেও সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের প্রভাব আছে বলে ফের উল্লেখ করলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বুধবার ‘সিঙ্গুর দিবস’ উপলক্ষে এক সভায় পার্থবাবু আরও এক বার জানিয়ে দেন, ‘অনিচ্ছুক’ চাষিরা যে কোনও মূল্যে জমি ফেরত পাবেন।
২০০৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিঙ্গুরের বিডিও অফিস থেকে তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মারধর করে কলকাতায় পাঠিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। পরের বছর থেকে এই দিনটিকে ‘সিঙ্গুর দিবস’ হিসাবে পালন করে তৃণমূল। এ দিন ছিল ‘সপ্তম সিঙ্গুর দিবস’। সেই উপলক্ষেই সভা। |
সমাবেশে পার্থ। —নিজস্ব চিত্র। |
শিল্পমন্ত্রী বলেন, “সিঙ্গুরের লড়াই সারা পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। এই আন্দোলন কেন্দ্রীয় আইন বদল করতে বাধ্য করেছে। সিঙ্গুরের মানুষ রাজ্যে সরকার বদলে প্রধান ভূমিকা নিয়েছেন। আমরা সরকারে এসেই প্রথমে সিঙ্গুর আইন করেছিলাম। অনিচ্ছুক কৃষকেরা যখন জমি ফেরত পাবেন বলে বুক বেঁধেছিলেন, তখন চক্রান্তকারীরা মাঠে নেমে পড়ল। হাইকোর্ট করল, সুপ্রিম কোর্ট করল।”
এর পরেই তাঁর সংযোজন, “যত দেরিই হোক না কেন, সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক চাষিরা জমির অধিকার পাবেন, পাবেন, পাবেন।”
শিল্পমন্ত্রী যাই বলুন না কেন, সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক চাষিদের জমি রাজ্য সরকারের গলায় কাঁটার মতো খচখচ করছে। কেননা, সিঙ্গুরের জমিজট এখনও আদালতের বিচারাধীন। ফলে ‘অনিচ্ছুক’রা আদৌ জমি ফেরত পাবেন কিনা বা পেলেও কবে পাবেন, সে সব প্রশ্নের মীমাংসা হয়নি এখনও। গত ২০ সেপ্টেম্বর সিঙ্গুরে সভা করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। তবে আমি পালিয়ে যাওয়ার লোক নই। গ্যারান্টি দিচ্ছি অনিচ্ছুক চাষিরা জমি ফেরত পাবেন।” এ দিন পার্থবাবু ছাড়াও অনুষ্ঠানে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, রাজ্যের মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, বেচারাম মান্নারা।
দলের ‘বিদ্রোহী’ সাংসদ-বিধায়কদের নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পার্থবাবু বলেন, “তৃণমূল নিয়ম মেনে চলা, শৃঙ্খলাপরায়ণ, নীতিনিষ্ঠ দল। দু’-এক জন কিছু কথা বলেছেন। কিন্তু নিয়মশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য হিসেবে মন্তব্য করা ঠিক নয়।’’ তবে কংগ্রেসের নেতারা ‘বিদ্রোহী’ তৃণমূল নেতাদের সমর্থন করায় কংগ্রেসের কড়া সমালোচনা করেন পার্থবাবু। তিনি বলেন, “এই রকম অনেক কিছু ওরা আগেও করছে। ওরা অন্য দলকে দুর্বল করতে চাইছে।” |